মলয় দে নদীয়া :- নদীয়ার রানাঘাট ব্লকের দত্তফুলিয়ায় সীমা মহিলা সমিতির উদ্যোগে ইছামতি নদীর তীরবর্তী মানুষদের নিয়ে পালিত হলো নদী দিবস। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয় পূর্বে এই নদী দিবস ষাট সত্তর টি দেশ, পালন করলেও বর্তমান সারা পৃথিবীতে ১০০টির উপরে দেশ আজ একই সাথে পালন করছে নদী দিবস।
বলা হয় বাংলাদেশের পদ্মা থেকে মাথা ভেঙ্গে চূর্ণ হয়ে পূর্ব দিকে ইছামতি পশ্চিমে চূর্ণী সৃষ্টি হয়েছিলো। মোহনা থেকেই মাথাভাঙ্গা পর্যাপ্ত পরিমাণে জল নেই, তার ওপর স্থানীয় মদের কারখানার দূষিত নোংরা জল নদীবক্ষে পড়ে তা আরো শোচনীয় অবস্থা। চূর্ণী দূষিত হচ্ছে বাংলাদেশের একটি কারখানার নোংরা জলে আর ইছামতির মুখে বোল্ডার ফেলে রেলের ব্রিজ নির্মিত হয়েছে, তার ওপর দত্তফুলিয়া বাজারের কাছে দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় পাইকারি মাছ বিক্রেতারা পরিত্যক্ত কন্টেইনার থার্মোকল ফেলে আরো দূষিত করে তুলেছে। স্থানীয় কিছু প্রোমোটার নদীর জায়গা দখল করে দোকান বাড়ি ইঁটভাটা নির্মাণ করে চলেছেন বিভিন্ন এলাকায়। অঞ্জনা নদীর পাড়ও একই অবস্থা। দত্তফুলিয়ার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শ্রীমা মহিলা সমিতি ১৯৯৩ সাল থেকে নদীকে বাঁচানোর আন্দোলন করে আসছে। কখনো সখনো সহযোগিতা পেলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উদাসীন থাকে প্রশাসন।
আজ নদী দিবস উপলক্ষে, নদী পাড়ের বাসিন্দারা পদযাত্রা করেন, স্থানীয় শিশু এবং মহিলারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেন, নদীকে বন্দনা করেন প্রদীপ জ্বালিয়ে, এরপর নদী পাড়েই একটি সভা করেন তারা। এ যাবৎ কাল নদীর স্বাস্থ্য এবং মৎস্যজীবী নদীর পাড়ে কৃষকদের কথা উঠে আসলেও এবারে নদী দিবসে সারা পৃথিবীব্যাপী আলোচিত হচ্ছে নদী সম্পর্কিত জীববৈচিত্র্য রক্ষা করার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি।