প্রথা মেনে দেবীর চক্ষুদান ! ২৬০ বছরের নবদ্বীপের
মলয় দে নদীয়া :-হাতে গোনা কয়েকটা প্রহর পর বাঙ্গালী মাতবে দূর্গা পুজোয়।বারোয়ারী থেকে বনেদি বাড়ির পুজো, সবেতেই চরম ব্যস্ততা, কোথায় পুজোর উদ্বোধন হবে চতুর্থীতে কোথাও পঞ্চমী তিথিতে, তাই হাতে সময় কম, মন্ডপ, থেকে প্রতিমা শিল্পী সকলেই ব্যস্ত শেষ মূহুর্তের কাজে।
পাশাপাশি বনেদি বাড়ির পুজো গুলোতেও চলছে চরম ব্যস্ততা, আর বেশির ভাগ বনেদি বাড়ির পুজো মানেই কিছু না কিছু ব্যতিক্রমী তো থাকবেই।
ঠিক তেমনই নবদ্বীপ শহরের দন্ডপানিতলা এলাকার বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির পুজোতেও রয়েছে একাধিক ঐতিহ্য, রীতিনীতি, এ বছর পুজো ২৬০ বছর অতিক্রম করেছে বলে জানায় পুজোর দায়িত্বে থাকা পরিবারের সদস্যআশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি আরও বলেন তাদের এই দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্য গুলো আজও বজায় রয়েছে। বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির পুজোর শুরুটা হয় উল্টো রথের দিন কাঠামো পুজোর মাধ্যমে, তার পর ধীরে ধীরে মায়ের মূর্তি গড়া, সবটাই নিয়ম নিষ্ঠার সাথে হয়।
চিরা চরিত প্রথা অনুযায়ী মহালয়া র পূণ্য লগ্নে হয় দেবীর চক্ষুদান,পুজোর সপ্তমী থেকে নবমী প্রতিদিনই মায়ের ভোগ হয় আমিষ ভোগ, মাছ দিয়ে।
নবমীর দিন রান্না করা মায়ের ভোগ রেখে দিয়ে দশমীর দিন, পান্তা ভোগ দিয়ে প্রসাদ পেয়ে মাকে বিদায় জানায় পরিবারের সকলে।পরিবারের সদস্য জানান একান্নবর্তী পরিবার হলেও কর্ম সূত্রে প্রায় বেশির ভাগ সদস্যকেই বাইরে থাকতে হয় কিন্তু পুজোতে সকলে একসাথে মিলিত হয়ে মায়ের বোধন থেকে বিসর্জন পর্যন্ত একযোগে কাজ করে, আনন্দ ভাগ করে নেয়।
পাশাপাশি পুজোর দালানে সবটাই ইট -পাথরের হলেও মায়ের আসন থেকে পুজোর জায়গা সবটাই মাটির, আর এটা প্রতম থেকেই আছে বলে সময়ের সাথে বহু কিছু বদলালেও এটা এখনো একি আছে, ঠিক তেমনি মৃৎশিল্পী র ক্ষেত্রেও একইধারা বজায় আছে, যে মৃৎশিল্পী বর্তমানে প্রতিমা তৈরী করছে তিনি বলেন এই বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে বংশ পরম্পরায় তারাও প্রতিমা তৈরির কাজ করে আসছেন।
সব মিলিয়ে দুর্গা পুজোকে ঘিরে বারোয়ারী গুলো যেমন তৈরি হচ্ছে তেমনি পাল্লা দিয়ে বনেদি বাড়ির পুজো গুলোও তৈরি হচ্ছে।