মলয় দে নদীয়া :- ক্ষিদের জ্বালা থাকলে উৎসবও হয় ম্লান!সমাজের সকল স্তরের প্রত্যেক মানুষের ক্ষুধার জ্বালা নিবারণ করে থাকেন অন্নদাতা রূপে কৃষকগণ।তাঁরাই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোদ,জল,ঝড় উপেক্ষা করে নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে সবুজায়ন ঘটায় দেশের বুকে। দেশের শস্য ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে । মানবসভ্যতার ধারক ও বাহক হয়ে সভ্যতার চলমান রথটাকে সচল রেখেছে যারা ,তারা কি পেয়েছে না পাচ্ছে ফসলের উপযুক্ত দাম না উপযুক্ত সন্মান।
বীজ, সার, কীটনাশক, সেচের জ্বালানি, কৃষিশ্রমিকদের মজুরি ইত্যাদির পেছনে ব্যয় বেশি বলে ফসল উৎপাদনের মোট খরচ বেশি হয়, কিন্তু সেই তুলনায় কৃষিপণ্যের দাম বেশি পান না। কৃষি বিল নিয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষের সাথে রাজনৈতিক লড়াই চালান, কেউ সফল হন কেউ বিফল, তবে ব্রাত্য থেকে যায় কৃষকরাই। কখনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় কখনো বা বিজ্ঞানের অপব্যবহার এর ফলে নানান জীবাণু ঘটিত রোগে সর্বশান্ত হন তারা।
” কৃষি মানুষের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর , সবচেয়ে উপকারী এবং সবচেয়ে মহৎ কর্মসংস্থান।”এসব তত্ব কথা মহৎ কাজের কথা ইতিহাসের পাতাতেই রয়ে গেলো। বাস্তব সমাজে মূল্যায়ন হয় খুবই কম । তবে নদীয়ার শান্তিপুর প্রয়াস বিগত চার বছর যাবত শারদীয়ার প্রাক্কালে তাদেরকেই প্রথম খুশি করেন। আগমনীর প্রাক মুহুর্তে তাদের হাতে নতুন বস্ত্র ,কৃষি সরঞ্জাম ,টোকা,গামছা ইত্যাদি তুলে দেওয়া হয় অন্যান্য বছরের মত। উদ্যোক্তারা বলেন, পেট ভরা থাকলে তবেই আসবে উৎসবের আনন্দ। আর সেই কাজটা যাঁরা করছেন, তাঁরাই সমাজের প্রধান। তাদের মুখে ফুটলে হাসি, আনন্দে থাকবে শহর এবং নগরবাসী।