স্বাভাবিক হতে চলেছে তারাপীঠ , জেলাতেও বাড়ছে কৌশিকী অমাবস্যা পুজোর চল

Social

মলয় দে নদীয়া :-হিন্দু ধর্মে বিভিন্ন তিথিতে মা কালীর বিভিন্ন রূপের পুজো করা হয়। দেবীর আরাধনা সর্বজনবিদিত। ভাদ্র মাসের শুরুতেই যে অমাবস্যা, সেটাই কৌশিকী অমাবস্যা নামে পরিচিত। এই পুজোর সঙ্গে জড়িত আছে নানা পৌরাণিক কাহিনি। কৌশিকী অমাবস্যার পবিত্র লগ্নে তারাপীঠ মন্দিরে, বিশেষ উপাচারে পুজো করা হয় তারা মায়ের।

প্রদক্ষিণরত অবস্থায় চন্দ্র যখন সূর্যের কাছে চলে আসে! তখন জিরো ডিগ্রিতে হয় আমাবস‍্যা ১৮০ ডিগ্রীতে পূর্ণিমা, এতো গেলো বৈজ্ঞানিক মত। তন্ত্র শাস্ত্র মতে ভাদ্র মাসে কৌশিয়্ঙ বা কৌশিকী অমাবস্যা এক বিশেষ তিথি। শ্রীশ্রী কেতু গ্রহের আবির্ভাবের ফলে, তন্ত্র এবং গুপ্ত সাধনার ফলে মেলে সুফল।

এই তিথিতেই নাকি তারাপীঠের মহাশ্মশানের শ্বেতশিমূল গাছের তলায় সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপা। সেই বিশ্বাসেই কৌশিকী অমাবস্যাতে লক্ষাধিক পুণ্যার্থীদের ভিড় হয় তারাপীঠে।
এবারে ২৭ অগাস্ট (১০ ভাদ্র) শনিবার ঘ ১/২৩/৩১ থেকে ২৮ অগাস্ট (১১ ভাদ্র), রবিবার ২/২০/৩০ পর্যন্ত থাকবে এই অমাবস্যা।

বিগত দু’বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে কৌশিকী আমাবস্যায় বন্ধ ছিলো তারাপীঠ মন্দির। এবছর আবারও স্বাভাবিক হতে চলেছে সবকিছু। প্রশাসনের অনুমান এ বছর প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের সমাগম হতে পারে তাই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে পানীয় জল নদীতে চলাচল এবং স্নান যাত্রা তেও নিয়ে আসা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ।
তবে শুধু তারাপীঠেই নয়! রাজ্যের সর্বত্র বামা কালী মা পূজিত হয়ে থাকেন কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে। নদীয়ার শান্তিপুর চৌগাছা পাড়ায় মৃৎশিল্পী বাড়িতে জয়দেব পালের বাড়িতে গত আড়াই মাস ধরে তৈরি হয়েছে তারাপীঠের আদলে তৈরি মায়ের মূর্তি। যা পূজিত হয় তারাপুর শ্মশানে। তবে এবার
জয়দেব পাল তারাপুরের শ্মশানের অর্ডারের সাথে সাথেই পেয়েছেন বলাগর শশ্মানের মাতৃ মূর্তি তৈরির দায়িত্বও।

Leave a Reply