মলয় দে নদীয়া:- দীর্ঘ আড়াই বছর যাবত করোনায় বহু ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে ধর্মপ্রাণ নদীয়াবাসি আনন্দ থেকে বঞ্চিত ছিলো। তবে এবার, বিশ্বখ্যাত রাস উৎসবের মতো গৌরবান্বিত হতে চলেছে নদীয়া। পুরী ধামের রথের চাকা মায়াপুর ইসকনে প্রধান আকর্ষণ এবছর রথের। অন্যদিকে রেল কর্তৃপক্ষ হাওড়া থেকে নবদ্বীপ ধাম শিয়ালদহ থেকে কৃষ্ণনগর ২ জোড়া লোকাল ট্রেন চালু করায় রথে নদীয়াতে বহিরাগতদের ঢল নামবে এটাই স্বাভাবিক।
তবে বাদ নেই জলপথও। নদীয়ার শেষ সীমান্ত শান্তিপুর ভাগীরথী পার হয়ে বর্ধমান এবং হুগলি থেকে দর্শনার্থীরা আরও সহজভাবে প্রবেশ করতে পারবে নদীয়াতে। যদিও কালনা এবং গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাটের মাধ্যমে এর আগেও পারাপার চালু ছিলো। তবে কানলা ফেরিঘাট বর্ধমান জেলার কালনা পৌরসভার অধীনস্ত, শান্তিপুর পৌরসভার অধীনস্থ গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাট টি শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। শান্তিপুর পৌরসভার অধীনে থাকা একটি লঞ্চ এযাবৎকাল পারাপার করে, যদিও ইজারাদারের ব্যক্তিগত একটি লঞ্চ এই ঘাটে চলাচল করে, তবে বেশ কয়েক মাস যাবত সেই লঞ্চটি খারাপ হয়ে মেরামতির জন্য গিয়েছে বলাগড়ে।
ইজারাদারের কাছ থেকে জানা যায় প্রতিদিন প্রায় ৪০০ যাত্রী ৫০ -৬০ টি গাড়ি পারাপার চলে এই ঘাটে।
আর এই ঘাটেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনপথ উন্নয়ন নিগমের উপহার হিসেবে শান্তিপুর পৌরসভা পেল দুটি লঞ্চ যার যাত্রীসংখ্যা বহন ক্ষমতা ৮০ জন ।
এর আগে শান্তিপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান প্রয়াত অজয় দে র আবেদনের ভিত্তিতে শান্তিপুর থেকে নবদ্বীপ লঞ্চ পরিষেবা চালুর জন্য একটি লঞ্চ এসেছিলো এই ঘাটেই তবে তা হস্তান্তর হয়নি বিশেষ সমস্যার কারণে।
আজকের এই উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী শান্তিপুর পৌরসভার সুব্রত ঘোষ ভাইস চেয়ারম্যান কৌশিক প্রামানিক সহ বিভিন্ন কাউন্সিলরগণ এবং পৌর কর্তৃপক্ষ। বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী জানান মাছ আনাজ শাড়ি ধান গোখাদ্য বিচুলি এ ধরনের অত্যাবশ্যকীয় আদান-প্রদান চলে দুই জেলার মধ্যে, মালদা মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতাগামী অনেকেই এই ফেরিঘাট ব্যবহার করে থাকেন সময় বাঁচাতে। অনেকদিন আগেই পরিবহন মন্ত্রীর সাথে এ বিষয়ে তাঁর কথা হয়েছিলো।
পুরপ্রধান সুব্রত ঘোষ জানান, সম্প্রতি পৌর মন্ত্রীর কাছে পৌরসভার পক্ষ থেকে একটি আবেদন জানানো হয়েছিলো তাতেই সম্মতি জানিয়ে পৌরসভার হাতে প্রদান করেছেন দুটি লঞ্চ, যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।
সাধারণ আমজনতা খুশি হলেও সচেতন নাগরিকরা অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, নিরাপত্তা জ্যাকেট, রেস্কিউ টিম, এবং মোটর গাড়ির ওজন অনুযায়ী ঘরে তোলার ব্যবস্থা নেই সে বিষয়ে সজাগ থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।