নদীয়ায় একই সাথে শতাব্দী প্রাচীন ছটি গাছের মৃত্যু ! তদন্তে এবং পুনরায় বৃক্ষরোপণের দাবী 

Social

মলয় দে নদীয়া:-একটা দুটো নয় ছয়-ছ টি গাছের একসাথে মৃত্যু। মৃত্যু, নাকি পরিকল্পনা মাফিক খুন? মানুষ খুনের তদন্ত কমিটি হয়, আসে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তর, এক্ষেত্রে হবে কিনা প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সচেতন নাগরিকদের মধ্যে।

ঘটনাটি নৃসিংহপুর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়। । চালপট্টি , বারোয়ারী এবং পঞ্চায়েত অফিস সংলগ্ন এলাকায়, সমগ্র শান্তিপুরের মধ্যে শতাব্দীপ্রাচীন এই গাছগুলোর নানান স্মৃতিকথা জানা যায় স্থানীয় প্রবীনদের কাছ থেকে। দু একটি বাদ দিলে বেশিরভাগ p.w.d. অন্তর্ভুক্ত। তারা এসে গাছগুলো কেটে নিয়ে যাবেন ঠিকই কিন্তু বিজ্ঞান কর্মীদেরপ্রশ্ন , সেই সেই জায়গায় পুনরায় আবার গাছ লাগানো হবে তো?

স্থানীয় সচেতন মানুষের একাংশর আশঙ্কা, পিডব্লুডি’ র জায়গা হলেও অতীতে গাছগুলিকে ঘিরেই চারিপাশে কংক্রিটের দেওয়াল তুলে তৈরি হয়েছিল ব্যবসায়িক দোকানঘর যা ওই গাছগুলির মৃত্যুর কারণ হতে পারে। মৃতগাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার পর, কংক্রিটের ছাদ ঢালাই দিয়ে ঝঞ্ঝাট মুক্ত হবেন তারা। কিন্তু সাধারণ পথচারী, ওই এলাকার পরিশ্রম করা মুটে মজুররা, পশুপক্ষী বিশ্রাম নেবে কোথায়? মহীরুহের বিপুল পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহের ঘাটতি তো থাকলোই।
কথা বলেছিলাম হরিপুর পঞ্চায়েতের প্রধান শোভা সরকারের সাথে,পিডব্লুডি বিভাগকে জানানো হয়েছে, স্থানীয় ব্যবসা তাদের সঙ্গে একপ্রস্থ মিটিং হয়েছে। গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার পর ওই স্থানে গাছ লাগানো হবে। যদিও পঞ্চায়েতের মধ্যে ওই ধরনের একটি গাছ কাটার ৬ মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনো কোন বৃক্ষ রোপন দেখা যায়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা নদীয়া জেলা পরিষদের তিনবারের প্রবীণ সদস্য নিমাই চন্দ্র বিশ্বাস জানান, প্রচলিত কথায় রেইনট্রিগুলিতে কোনো সংক্রামন ঘটেছে হয়তো, তবে বনদপ্তর এর সাথে পিডব্লুডি  কথা বলে শুকনো গাছগুলি কাটার বেশ খানিকটা জটিল এবং সময় সাপেক্ষ। বর্তমান রাজ্য সরকারের নীতি অনুযায়ী, ঐ স্থানে গাছ লাগানো হবে এটা নিশ্চিত বলেছেন তিনি।

স্থানীয় ব্যাবসায়িক সংগঠনের ক্যাশিয়ার রাধা মাধব কুণ্ড, সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন স্বীকারোক্তি করেই জানিয়েছেন, ঘরের মধ্যে নতুন করে চারা গাছ লাগিয়ে তা কতদূর বাড়বে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি।
মুটেমজদুর ইউনিয়নের সভাপতি গণেশ সরদার বলেন, কাটার ব্যাপারে পঞ্চায়েতের সাথে আলোচনা হলেও গাছ লাগানোর ব্যাপারে কোনো কথা হয়নি, হবে গাছ গুলি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে ধান-চাল শ্রমিকদের অত্যন্ত অসুবিধা হয়ে গেলো।

শান্তিপুর সায়েন্স ক্লাবের পক্ষ থেকে রঘুনাথ কর্মকার জানান, মৃত্যুর তদন্ত , পুনরায় রোপনের বিষয়ে হর্টিকালচার ,বনদপ্তর, জেলাশাসক এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন জানানো হবে।

Leave a Reply