মলয় দে নদীয়া :-রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত পদ্মশ্রী শ্রী শিবানন্দ স্বামীজী আজ নদীয়ার নবদ্বীপে পা রাখলেন। এদিন নবদ্বীপ শহরের ভজন আশ্রম মন্দির প্রাঙ্গনে, তাঁকে দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমায়।
সম্প্রতী চলতি বছরে মার্চ মাসে ভারত সরকার যে ১২৮ জন বিশেস গুনীজনেদের হাতে পদ্মশ্রী পুরস্কার তুলে দিয়েছেন মধ্যে তিনিও ছিলেন।তাকেও পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
শ্রী শিবানন্দ বাবার জন্ম ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দের ৮ ই আগস্ট। তাঁর এখন বর্তমান বয়স হলো ১২৬ বছর। শ্রীহট্ট জেলা, হবিগঞ্জ মহকুমা হরিপুর গ্রামে এক ভিখারি ব্রাহ্মণ গোস্বামী পরিবারে প্রখ্যাত ঠাকুরানী বংশে শিবানন্দ বাবার জন্ম হয়। পিতৃদেব শ্রীনাথ গোস্বামী ও মাতৃদেবী ভগবতী দেবী। ১৯০৭ খিস্টাব্দে শিবানন্দ বাবা সদ্গুরু ওঙ্কারানন্দর কাছে দীক্ষা গ্রহণ করেন। পরাবিদ্যা অনুশীলনের সাথে সাথে গুরুদেব শিবানন্দের জাগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা করেন। গুরুকৃপা কে অবলম্বন করে কঠোর তপস্যা ও অধ্যবসায়ের ফলে তিনি উপলব্ধি করেন তিনি তাঁর সমগ্র জীবন ” জীবে দয়া, নামে রুচি ও বৈষ্ণব সেবায় ” নিয়োজিত করেন। একটি হরিতকী ছাড়া অন্য দান গ্রহণ না করায় তাঁর জীবনের ব্রত। জানা যায়, শ্রী শিবানন্দ স্বামীজীর দৈনন্দিন জীবন ভোর তিনটায় শয্যা ত্যাগ। জব ধ্যান, সকলের মঙ্গলচিন্তা, দান, সেবা ও নিষ্কাম কর্ম শেষে রাত নটায় শুতে যান। বাবা হলেন অর্ত, তাপিত,পতিত, পিরিত দরিদ্র ,বঞ্চিত, অবহেলিত মানুষের বন্ধু। তাঁদের শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক সেবায় বাবার প্রিয়তম কর্ম। শিবানন্দ বাবার চিন্তা ধারা সৎচিন্তা, সৎকর্ম, সদ্ভাবনা ধর্ম জীবনের মূল। তাই সুনাম খ্যাতিসম্পন্ন সিদ্ধ মহাপুরুষ শ্রী শিবানন্দ বাবা আজ নবদ্বীপের ভজনাশ্রমে পা রেখেছিলেন। তাঁকে প্রণাম করতে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। দরিদ্র দের মধ্যে চাল, ডাল, তেল এবং নগদ টাকা দান করলেন।