সাঁওতালি সাহিত্যে একাগ্র চিওে কাজ করে চলেছেন কবি ও লেখক মহাদেব হাঁসদা

Social

সোশ্যাল বার্তা: আজ ২০শে জুন কবি ও লেখক মহাদেব হাঁসদা । ১৯৫০ সালের আজকের দিনেই পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার বাঁন্দোয়ান থানার অন্তর্গত কুমড়া ডাকঘরের অধীন কায়রা গ্রামে জন্মগ্ৰহন করেন । পিতার নাম নায়কে হাঁসদা মাতা ধনমণি । মহাদেব বাবু ঝাড়গ্ৰাম জেলার সেবা ভারতী মহাবিদ্যালয় (কাপগাড়ি) থেকে বিএ পাশ করার পর শিক্ষক হিসাবে কাজে যোগদান করেন। এখন তিনি অবসর প্রাপ্ত সময় কাটাচ্ছেন সাহিত্যের মধ্য দিয়ে।

মহাদেব হাঁসদা মূলত ছাত্রজীবন থেকেই সাঁওতালি সাহিত্যের প্রতি সাঁওতালি সাহিত্যের প্রতি গভীর ভাবে আকৃষ্ট হন তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্ৰন্থ গুলি হল –

১. সাঁনতালি অনল মালা
২. সানতালি কাঁহনি মালা
৩. হেঁসা মা চঁটেরে
৪. সারদা প্রসাদ কিস্কুর লেখা – ‘চিঠি সাকাম’ (পত্রাবলী)
৫. ‘পাঁঞ্চেত বুরু ঞালাঃ ঞালাঃ’
এগুলি সহ আরো ১০ টির বেশি তার লেখা বই রয়েছে ।
‘হড় সম্বাদ’ ‘পছিমবাংলা’ ‘তেতরে’, ‘জিরিহিরি’, ‘সুসৗর ডাহার’, ‘সিলি’, প্রভৃতি পত্রিকায় তাঁর রচনা প্রকাশিত হয়।

ভাষা সাহিত্যের উন্নয়নমূলক একাধিক সংস্থার সঙ্গে তিনি যুক্ত। মহাদেব বাবু ‘তেতরে’ পত্রিকায় সম্পাদক তে যুক্ত থাকায় বহু কবি, লেখককে উৎসাহিত করেন। বলাবাহুল্য, ‘তেতরে’ পত্রিকায় লেখা শুরু করে পরবর্তী সময়ে সাঁওতালি সাহিত্যে বলিষ্ঠতার পরিচয় দিয়েছেন এমন কবি, লেখকের সংখ্যা একাধিক। সাঁওতালি সাহিত্যে বিশিষ্ট অবদানের জন্য মহাদেব বহু সম্মানে ভূষিত হন।

তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:- (১) পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচেদা-য় অবস্থিত রামকৃষ্ণ ইনস্টিটিউট-এর পক্ষ থেকে ১৯৮৮ সালে তাঁকে সংবর্ধনা জানানো হয়।

(২) বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর সাঁওতালি অনলিয়ৗ আর কারিগল বাইসি-র পক্ষ থেকে ১৯৯৩ সালে সংবর্ধনা জ্ঞাপন।

(৩) পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তপশিলী জাতি ও আদিবাসী কল্যাণ বিভাগ কর্তৃক ১৯৯৫ সালে লেখক ও সম্পাদক রূপে গুণীজন সংবর্ধনা জ্ঞাপন ।

Leave a Reply