নিউজ সোশ্যাল বার্তা : ২৯ শে ডিসেম্বর ১৯১৪ বিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত বাঙালি চিত্রশিল্পী ছিলেন জয়নুল আবেদিন।পূর্ববঙ্গে তথা বাংলাদেশের বর্তমানে কিশোরগজ্ঞ জেলায় (পূর্বতন ময়মনসিংহ। জন্মগ্রহন করেন ।
তার বিখ্যাত চিত্রকর্মের মধ্যে রয়েছে দুর্ভিক্ষ-চিত্রমালা, সংগ্রাম, সাঁওতাল রমণী, ঝড়, কাক, বিদ্রোহী ইত্যাদি। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে গ্রামবাংলার উৎসব নিয়ে আঁকেন তার বিখ্যাত ৬৫ ফুট দীর্ঘ ছবি নবান্ন।
পূর্ববঙ্গের তথা বাংলাদেশের চিত্রকরদের মধ্যে তিনি শিল্পগুরু হিসেবে বিবেচিত। তার নামে চারুকলা অনুষদে একটি গ্যালারি রয়েছে। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ৩৫ সংখ্যক গ্যালারীটিতে শিল্পচার্য জয়নুল আবেদিন চিত্রশালা হিসাবে সজ্জিত করে ।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন কর্তৃক ৯ জুলাই, ২০০৯ বুধ গ্রহের একটি জ্বালামুখ তার মানব সভ্যতায় মানবিক মূল্যবোধ ও উপলদ্ধিকে গভীরতর করার প্রেক্ষিতে আবেদিন জ্বালামুখ নামে নামকরণ করা হয়। তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উৎসব হয় ও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালায় (আর্ট গ্যালারি) শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
বিশ্বের প্রাচীনতম ও সর্ববৃহৎ ব্রিটিশ নিলামকারী প্রতিষ্ঠান বনহামসে তার স্কেচ বিক্রয় হয়। তিনি ১৯৫৮ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের সবচেয়ে বড় খেতাব হেলাল-ই-ইমতিয়াজ,১৯৬৮ সালে ঢাকা আর্ট কলেজের ছাত্রদের তরফ থেকে ‘শিল্পার্চায’ উপাধি এবং ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে জাতীয় অধ্যাপকের সম্মান লাভ করেন।
তার ১০৫ তম জন্মতিথিতে কৃষ্ণনগর চারুকলা সোসাইটির সদস্যরা কৃষ্ণনগর গর্ভমেন্ট কলেজের মাঠে একটি অভিনব চিত্র কর্মশালার আয়োজন করেন। সদস্যরা শিল্পীর পোর্টেট বিভিন্নমাধ্যমে এঁকে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। মাঠে ঘুরতে আসা মানুষজন এই অভিনব প্রয়াস ও শিল্পীর অজানা কথা জানতে পেরে বেশ উৎসাহিত হয়ে কর্মশালায় ভীড় জমায়। তাদের কথায় এরকম অভিনব জন্মজয়ন্তী দেখে আমরা চারুকলা সোসাইটির দীর্ঘ সাফল্য কামনা করি।