সারা রাজ্যে সমস্ত পেট্রোল পাম্পে একদিনের জন্য প্রতিকী ধর্মঘট

Social

মলয় দে নদীয়া:- পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে নয়! তবুও আজ সারা রাজ্যে সমস্ত পেট্রোল পাম্প থাকছে বন্ধ, স্থানীয় থানা এবং অ্যাম্বুলেন্স বাদে পেট্রোল ডিজেল কিছুই পাবেন না কোন যানবাহনই। অর্থাৎ সারাদিন নির্জলা উপস সমস্ত রকম পেট্রোল ডিজেল চালিত গাড়িগুলি। বন্ধ রেখেছেন খোদ ইন্ডিয়ান অয়েল হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম ভারত পেট্রোলিয়াম বিক্রি করা নিজস্ব পাম্পের মালিকরাই। কারণ তারা দোষের ভাগিদার হতে রাজি নন!

যেকোনো মোটরগাড়ির ইঞ্জিন চালু হলেই তৈরি হয় কার্বন মনোক্সাইড, তবে তার সাথে যদি ইথানল মেশানো যায় তবে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় পরিবেশ দূষণ । কেন্দ্র সরকারের নির্দেশ মোতাবেক, বর্তমানে ১০% ইথানল মেশানোর আনুপাতিক হার আরো বাড়বে বলেই জানা গেছে।
জানা যায়, ইথানল মেশানোর পরেই হিতে বিপরীত হচ্ছে বর্ষার সময়। মূল পেট্রোল উৎপাদন কেন্দ্রের ট্যাংকে হোক বা পরিবহনের ট্যাংক, কিংবা পেট্রলপাম্পের রিজার্ভার অথবা গাড়ির পেট্রোল ট্যাংকে বিন্দুমাত্রও জল থেকে থাকে তাহলে ইথানলের সংস্পর্শে এসে প্রায় বেশির ভাগ ইথানল জলে পরিণত হচ্ছে, আর এর ফলে গাড়ির কার্বোলেটরে জল প্রবেশ করে মোটর চালুতে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে! আর সেই দায়ভার স্থানীয় পেট্রল পাম্পগুলি ঘাড়ে এসে পড়ছে! পেট্রোল মালিকদের সাফ কথা, পরিবেশের স্বার্থে ইথানল স্বাগত, কিন্তু এ সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে সক্রিয় হওয়ার জন্য ওয়েস্টবেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকে বারবার জানানো সত্ত্বেও বিষয়টি এযাবৎকাল আমল দেননি কর্তৃপক্ষ, অন্যদিকে তেল কোম্পানি গুলি আনুমানিক ৬০ টাকার লিটারের ইথানল বিক্রি হচ্ছে ১০২ টাকা ৭২পয়সা হয়তো সেই কারণেই এই উদাসীনতা বলে মনে করছেন পেট্রোল পাম্প মালিকরা। তাই আজ এক দিনের প্রতিকী ধর্মঘট। ক্রেতাদের বোঝাতে সক্ষম না হলে, এ সমস্যার সমাধান হবে না বলেই তারা মনে করেন।গ্রীষ্ম বা শীতকালে ধরনের সমস্যা না থাকলেও, বর্ষাকালে প্রায়সই ক্রেতা-বিক্রেতার ঝঞ্ঝাট লেগেই থাকে। যার ফলে সুনাম নষ্ট হচ্ছে অনেক পাম্পের।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন পেট্রলপাম গুলিতে মজুত কোটি কোটি টাকার পেট্রোল তাহলে কি জলে যেতে চলেছে? তবে তেলে জলে মিশুক আর নাইবা মিশুক! স্টার্টিং সমস্যা নিয়ে সাধারণ মানুষ যে নাকাল হবে, এ বিষয়ে চিন্তিত সাধারণ আমজনতা।
সকাল ছয়টা থেকে শুরু হওয়া এই ধর্মঘটের ফলে, বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। প্রচুর মোটরসাইকেল পেট্রোল পাম্প থেকে ঘুরে খোলা বাজারের তেল ভরে বাড়ি ফিরছেন, রুটের বাস মালিকরা জানান যা তেল আছে তাতে দুই একটি বাস একবারের জন্য চলতে পারে। ভিন রাজ্য থেকে আগত মাল বোঝাই লরি আটকে রয়েছে রাস্তার ধারে, কৃষকের ট্রাক্টর, সাংবাদিকের গাড়ি, ঔষধ বিক্রেতা বা বিভিন্ন উপকরণ হোম ডেলিভারি দেওয়া সকলেই অঘোষিত বন্ধ পালন করছে পরিস্থিতির ফলে।

Leave a Reply