নদীয়ায় চা এর দোকানে লটারিতে পুরষ্কার মিলছে দামি দামি বই ! 

Social

মলয় দে নদীয়া:- চায়ের দোকান মানেই আড্ডার ঠেক, রাজনৈতিক তর্ক, খেলার মাঠের জল্পনা, পাড়ার কুটকাচালি। কিন্তু যে দোকানের মালিক নিজেই কবিতা লেখেন, পাঠ করেন, সেখানে খরিদ্দার সংস্কৃতিপ্রবণ হবেন এটাই স্বাভাবিক। সন্ধের পর এবং দিনের কর্ম অবসরে

চায়ের ঠেকে আসা বেশ কিছু যুবক, রক্তদান বস্ত্রদান বই বিতরণের মতো সামাজিক দায়িত্ব পালনে মাঝে মাঝেই বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে থাকেন। তবে এবারের উদ্যোগ ছিলো সম্পূর্ণ অভিনব। রবীন্দ্রনাথ রচনাবলী, শরৎসমগ্র, অক্সফোর্ড ডিকশনারির মত মূল্যবান বই প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় পুরস্কার। আর এভাবেই সুকুমার রায়, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কাজী নজরুল ইসলামের মতো বাংলা সাহিত্যের প্রথম সারির কবি-সাহিত্যিকদের মূল্যবান 50 টি বই মাত্র কুড়ি টাকার টিকিটের লটারিতে লক্ষ্মী লাভের বদলে সরস্বতী লাভের আশায় টিকিট কেটেছিলেন পড়ুয়ারা। গতকাল সন্ধ্যায় সেই চা’য়ের ঠেকেই নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে 6 জন খুদে বিচারককে আইসক্রিম ক্যাডবেরি লজেন্স এবং পেন গিফট দিয়ে ভাড়া করে নিয়ে এসেছিলেন আমাদের ঠেক নামে চায়ের দোকানে গড়ে ওঠা সংস্থা।

ফেসবুক লাইভ করে, হাজারো দর্শকের মাঝে এক এক করে ঘোষিত হলো ৫০টি পুরস্কার। অনেকেই সাথে সাথে এসে নিয়ে গেলেন তাদের ভাগ্যের সরস্বতী, জানালেন এমন উদ্যোগ থাকলে যেমন বই পড়ার প্রবণতা বাড়বে তেমনি সুরাহা হবে দামি বই না কিনতে পারার আক্ষেপ।
চায়ের দোকানের মালিক সঞ্জীব দাস বলেন, দোকান ছেড়ে বেরিয়ে কিছু করার ফুরসত মেলেনা, তাই দোকানের ক্ষতি হচ্ছে জেনেও, রাজি হওয়া। যদিও আমিও এই ঠেকেরই একজন।

উদ্যোক্তারা জানালেন দীর্ঘ লকডাউনে কর্মহীন পরিবারের ঘরে পড়ুয়াদের পাঠ্য বই কিনে দিতে হিমশিম খাচ্ছেন অভিভাবকরা, এ ধরনের গল্পের বই সেখানে আড়ম্বরতা। অন্যদিকে মোবাইলে আসক্ত কিশোর-কিশোরীদের বইমুখী করে তোলাই তাদের উদ্দেশ্য।
খুদে বিচারকরাও বড়দের কাছ থেকে দায়িত্ব পাওয়ায় খুব খুশি।

Leave a Reply