গো খাদ্য হিসেবে বিচুলির আকাল হতে পারে মনে করছেন অন্নদাতারাই

Social

মলয় দে, নদীয়া:  বৈশাখে ঝড়-বৃষ্টির দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধান। ঝড়ে ভেঙে গেছে ধান গাছের কান্ড, লাগাতার বৃষ্টিতে জমে থাকা জলে পাকা ধান নুইয়ে পড়েছে মাটিতে। এই চেহারা প্রায় সব এলাকায় প্রতিটি চাষের মাঠেই।

তড়িঘড়ি ধান ঘরে তুলতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কৃষি শ্রমিক না পাওয়ার কারণে আধুনিক ধান ঝাড়া মেশিনের সহযোগিতা নিতে বাধ্য হচ্ছে অন্নদা তারা। বারবার বৃষ্টিতে জমিতে জমে থাকা জলের সংস্পর্শে এসে ধান কলিয়ে অঙ্কুরোদগমের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তারমধ্যেই আবারো মেঘের ঘনঘটা। তাই বাধ্য হয়েই প্রতি মিনিট পঁচিশ টাকা হিসেবে ভাড়া নেওয়া ধান ঝাড়া অটোমেটিক মেশিনের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। ফলে সুসজ্জিত বিচুলির আঁটি হিসেবে নয় আগোছালো পোয়াল হিসেবে পাচ্ছেন তারা। অর্থাৎ ধানের কাণ্ড পাতা জমির পাশেই ফেলে দেওয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। গো খাদ্য হিসেবে বিচুলি মাঠ থেকেই বিক্রি হয়ে যায় অন্যান্য বছর, ফলন যাইহোক বিচুলি বিক্রির করে বাড়তি অর্থ আমদানি হতো। অন্যদিকে গবাদিপশুর খাদ্য হিসাবে সারা বছর সঞ্চয় করে রাখা যেতো এই বিচুলি। কিন্তু এবছর পথের পাশেই পড়ে থাকছে অবহেলায়। কৃষকরা আন্দাজ করছেন গবাদি পশুর খাদ্যের আকাল দেখা যেতে পারে এবার।

Leave a Reply