মলয় দে নদীয়া:- শিব পুজো তাও আবার রাজনৈতিক! নদীয়ার শান্তিপুর রামনগর এলাকায় নৃসিংহপুর যাওয়ার রাস্তার পাশে ভারতী সংঘ নাট্য সমাজ দখলকৃত একটি স্থানে পুজো হতো শিবের। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর নাম অনুসারে পুজো উপলক্ষে গড়ে ওঠা মেলা পরিচিতি লাভ করে রাজীব গান্ধী মেলা বলে। এরপর রাজ্যে বাম জমানায় পুজো কমিটি ক্লাব মেলা সবকিছুর দখল নেয়, স্থানীয় সিপিআইএম কর্মীরা। মনের দুঃখে 1996 সাল থেকে তৎকালীন কংগ্রেসীরা মহাকালের পাট পুজো ছেড়ে, প্রতীক্ষায় থাকেন রাজ্যের রাজনৈতিক পালাবদলের । অবশেষে 2011 সালে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নতুন সরকার গড়ার পর নব উদ্যোমে শুরু হয় শিব পূজা, তবে এবার শুধু পাট পুজো নয়, রীতিমতন বিরোধীদের মুখে ঝামা ঘষে পেল্লাই শিব ঠাকুর তৈরি করে পুজো শুরু করেন তারা। পুজো কমিটির প্রাক্তন উদ্যোক্তা শচীন হালদার জানালেন এরকম রাজনৈতিক পুজোর নানান কাহিনী। বাউল গান, যাত্রাপালা সহ এবারের মূল আকর্ষণ ছিল পুতুল নাঁচ। সেখানে উঠে আসলো এই পুজোর গোড়ার কথা।
রানাঘাটের ধানতলা বড়বড়িয়া থেকে আগত নটরাজ পুতুল নাচের সাত জনের দল শোনালেন নানান কথা। দলনেতা কানাই হালদার জানালেন পুতুলনাচের এই দলের প্রতিষ্ঠাতা তার স্বর্গীয় পিতা বেঁচে থাকার সময় ওই অঞ্চলের 30- 40 টি দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলতো । যুগ পরিবর্তনের সাথে সাথে বদলেছে মানুষের পছন্দ তবে সেসময়কার কলাকুশলীরা এখন সকলে বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে, ঠিকমতন উপার্জন না হওয়ার কারণে। তবে বর্তমান সরকার শিল্পী কার্ড এবং ভাতা প্রদানের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার কারনে তারা আজও ধরে রেখেছে বাপকাকার ভালোলাগার এবং স্বপ্নের পুতুল নাচ।
তিনি বিশ্বাস করেন আজও সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে মনোরঞ্জনের ছলে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় বিভিন্ন নীতিকথা, যার ফলে চেতনা জাগ্রত হয়। তাইতো সাক্ষরতা, শৌচালয় ব্যবহার এমনকি করোনা বিধি মেনে চলার কথা সাধারণ মানুষকে বোঝাতে গুরুদায়িত্ব সরকার দিয়েছিলো তাদের উপর।