মলয় দে নদীয়া:- স্ত্রীকে হত্যা করে নিজের বাড়ির সিঁড়ির নিচে পুঁতে প্রমাণ লোপাটের জন্য কংক্রিটের ঢালাই করে উপরে বাথরুম তৈরি করল। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি নদীয়ার ধানতলা থানার শংকরপুর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় দিন পনেরো আগে স্বামী-স্ত্রী অশান্তির পর স্বামী রবীন্দ্রনাথ রায় তৃতীয় স্ত্রী মাম্পি কে হত্যা করে প্রমাণ লোপাটের জন্য নিজের বাড়ির সিঁড়ির নিচে গর্ত খুঁড়ে পুতি দিয়ে কংক্রিট ঢালাই দিয়ে তার উপরে বাথ্রুম তৈরি করে। বন্ধুদের মুখ ফসকে বলে দেওয়ার পর খবর পৌঁছে ধানতলা থানায়। পুলিশ এবং রানাঘাট 2 নম্বর বিডিও ঘটনাস্থলের সেই বাড়িতে গিয়ে মাটি খুঁড়ে দেহটি উদ্ধার করে। সব্দালপুর হসপিটালে দেহটি প্রাথমিক পরীক্ষার পর মৃত্যুর কারণ জানতে পুলিশ রানাঘাট পুলিশ মর্গে পোসমাডাম এর জন্য পাঠায়। এ বিষয় পরিবারের কেউ তেমন ভাবে মুখ না খুললেও প্রতিবেশীদের অভিযোগ রবীন্দ্রনাথ জুয়া মদে আসক্ত থাকতো প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীদের মারধর করে তাড়িয়ে দিত এরপর তৃতীয় স্ত্রী এই বাড়িতে থাকতো তাকেও একইভাবে অত্যাচার করত। আনুমানিক দিন পনেরো আগে স্বামী-স্ত্রীর বছসার পর স্বামী তার তৃতীয় পক্ষের স্ত্রীকে হত্যা করে প্রমাণ লোপাট করতে নিজের বাড়ির সিঁড়ির নিচে পুতি দেয়। ঘটনা জানাজানি হতেই রবীন্দ্রনাথ পালিয়ে যায়।
স্থানীয়দের দাবি এটি অতি নক্কার জনক ঘটনা এর তদন্ত চাই দোষীর শাস্তি চাই।