মলয় দে নদীয়া :-নির্মমতার স্বীকার এক গৃহবধূ, বেধড়ক মারধর করে খেতে না দিয়ে প্রায় দুদিন ঘরে তালা বন্ধ করে রাখার অভিযোগ গৃহবধূকে। অভিযোগের তীর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। দুদিন পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ঘরের তালা ভেঙে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ওই বধূকে।
ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের হরনদী এলাকার। অত্যাচারিত গৃহবধূ রজনী বিবির অভিযোগ, গত দুদিন আগে বিভিন্ন দাবি নিয়ে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার উপর অত্যাচার শুরু করে। এরপরে তার স্বামী শ্বশুর এবং শাশুড়ি ঘরের গ্রিল বন্ধ করে বেধড়ক মারধর করে। নির্মমভাবে মারধর করার কারণে ওই গৃহবধুর শরীরের একাধিক অংশে গভীর আঘাত লাগে, এরপরেই অচৈতন্য অবস্থায় গত দুদিন ধরেই ঘরের ভেতরেই পড়েছিল গৃহবধূ। অভিযোগ শশুর বাড়ির লোকজন ঘরে তালা দিয়ে রেখে দেয়।
গৃহবধূর পরিবারের কাছ থেকে জানা যায় ওই গৃহবধুর বাবার বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার বিনোদিয়া গ্রামে। বুধবার সকালে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ওই গৃহবধূর মা খবর পায়, এরপর ছুটে আসে শান্তিপুরের হরনদী এলাকায়, এরপর মেয়ের বাড়িতে গিয়ে দেখে ঘরে তালা মারা রয়েছে। মেয়েকে ঘরের বাইরে আনার জন্য চেষ্টা করে মা, যদিও বাধা দেয় গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তখনই ওই গৃহবধূর মা ফোন করে শান্তিপুর থানায়, তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে শান্তিপুর থানার পুলিশ গিয়ে ঘরের তালা ভেঙে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে শান্তিপুর থানায় নিয়ে আসে। অত্যাচারিত গৃহবধূর মায়ের দাবি, তাদের মেয়েকে বেধড়ক মারধর করে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তিনি সময় মতো না এসে পৌঁছালে তাদের মেয়েকে হয়তো আর ফিরে পেত না। এই ঘটনায় অত্যাচারিত গৃহবধূর বাবার বাড়ির পরিবার শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। এখন দেখার এই ঘটনায় পুলিশ কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে।