মলয় দে, নদীয়া:-প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটারের আধার সংশোধন এর বর্তমান ঠিকানা শান্তিপুর কাশ্যপপাড়া পোস্ট অফিস।এর আগে এ কাজের জন্য কিছুদিনের জন্য ফুলিয়া কালিপুর, শান্তিপুর আশানন্দ পাড়ার পোস্ট অফিস স্বল্প দিনের জন্য চালু থাকলেও, সরকারি নির্দেশ বিভিন্ন নোটিশ বোর্ড, কাচের টেবিল এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। পৌঁছায়নি প্রত্যন্ত গ্রাম, অল্প শিক্ষিত, কর্মব্যস্ত, শারীরিক অসুস্থ সহ বেশিরভাগ সাধারণ মানুষের কাছে।
নতুন আধার কার্ড নিবন্ধকরণ, সংশোধন, আধার ভোটার কার্ড সংযুক্তিকরণ যে কোন কাজেই হোক না কেন অতিরিক্ত ভীড় উপযুক্ত যোগ্যতার পারদর্শী করণিক এর অভাব যে কারণেই হোক না কেন ভুল কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদেরই। সাধারণ মানুষদের দেওয়া তথ্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লিখিত সার্টিফিকেট আকারে জমা দেয়া হয়, সেটাও কোন না কোন সরকারি বিভাগ থেকেই প্রস্তুত। কিন্তু তা সংশোধন করতে সারা বছর প্রায়শ্চিত্ত করেও মেলেনা সুফল, এইরকমই কিছু নির্মম চিত্র ধরা পড়েছে আমাদের ক্যামেরায়।গত ১৬ই ডিসেম্বর এ দফায় শান্তিপুরে আধার কার্ড সংশোধন প্রথম শুরু হলো শান্তিপুর পোস্ট অফিসে। যথারীতি প্রচুর ভীড় সাধারণ মানুষের। অনেকেরই অনুরোধ ছিল, আগে আসা ভিত্তিতে নাম নথিভুক্ত করা হোক, এবং তা প্রতি পাঁচজন প্রতিদিন দেখে নেয়া হোক তালিকা অনুযায়ী। অভিযোগকারীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পোস্ট অফিস থেকে জানানো হয়। সকাল দশটা বাজে পোস্ট অফিসে গেট খোলা হবে, তখন যে পাঁচজন উপস্থিত থাকবে তাদেরই সংশোধিত হবে সেই দিন, এবং প্রতিদিন চলবে এই নিয়মেই। ফলে এত জনসংখ্যার চাপ অনুযায়ী, নিজেদের মধ্যেই প্রতিযোগিতা বাড়তে থাকে, ফলে ১৬ তারিখ থেকে, নিয়মিত সারা দিন রাত্রি পোস্ট অফিসের সামনে পাঁচজনকে লাইনে থাকতে দেখা যাচ্ছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের এরমধ্যে ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ, গর্ভধারণ কারী মা, প্রতিবন্ধী বাচ্চা, বাদ যায়নি কেউই। এ বিষয়ে পোস্ট অফিস কর্তৃপক্ষ জানান এটা আমাদের বিষয় নয়, পোস্ট অফিসে একাজে অনুমতি দেয়া হয়েছে মাত্র। যিনি এ কাজ টি সম্পন্ন করছেন, তার দেওয়া একটি ফোন নাম্বার ছাড়া আর কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
এ দৃশ্য সহ্য না করতে পেরে, এলাকাবাসী ক্ষোভ ওগুলো দিয়ে বলেন, এ কোন সরকারি নিয়ম? একটা মানুষের জীবন ধারণের জন্য এতবার অগ্নিপরীক্ষা??