গণেশ চতুর্থী ! রাজ্যেও ক্রমশ পরিণত হচ্ছে উৎসবে

Social

মলয় দে, নদীয়া :- এই উৎসব এর আগে বাংলায় তেমন আড়ম্বর না থাকলেও মহারাষ্ট্র , গোয়া , তামিলনাড়ু ও কর্নাটক থেকে ইদানিং ক্রমশ জনপ্রিয়তা লাভ করছে বাংলায়ও। সনাতন ধর্মে গণেশ কে বাংলা বছরের প্রথমেই পুজো করার রীতি রয়েছে । যদিও হিন্দু ধর্মের সমস্ত মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান শুরু হবার পূর্বে গণেশকে পুজো করার রীতি বলবৎ রয়েছে ।

ইতিহাসের তথ্য অনুসারে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী লোকমান্য তিলকের একটি জন আবেদনের পর উনিশ শতাব্দী থেকেই গণেশ চতুর্থী উদযাপন বড়ো ও বৃহদায়তন হয়ে ওঠে । এই পুজো কে কেন্দ্র করে বিপুল জনগণের সমাবেশ ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কাছে আশঙ্কা দেখা দেয় । গণেশের আগমন ও বিসর্জন দুটোই মহাসমারোহে উদযাপিত হতো । হিন্দু সৌর কেলেন্ডার অনুযায়ী ভাদ্র মাসে যা সাধারণত আগস্ট বা সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই পড়ে ।
বিঘ্ন নাশকারি দেবতা মানেই গণেশ । গণেশের অপর নাম বিনয়ক , গণপতি , বিঘ্নহন তা প্রমুখ । গণেশের প্রিয় খাদ্য হলো লাড্ডু এবং মোদক । মোদক হলো চালের গুঁড়ো ও নারকেলের পুর দিয়ে তৈরি এক বিশেষ মিষ্টান্ন । এই গণেশ চতুরথির সময় এই মোদকের ব্যাপক চাহিদা থাকে । গোয়াতে এই মিষ্টি নারভি নামে সুপরিচিত। অন্দ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা তে মোদক , লাড্ডু , পানাকাম , ভাদা পাপ্পু এবং চাল ভিরি নৈবেদ্য মিষ্টি হিসাবে দেওয়া হয় গণেশকে । সাম্প্রতিক করোনা প্রেক্ষাপটে নদীয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে তেমন আড়ম্বরের সাথে না হলেও গণেশ চতুর্থী যথেষ্ট নীয়মানুবর্তিতার মধ্যে দিয়েই পালিত হয়েছে ।

Leave a Reply