সোশ্যাল বার্তা: নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের অন্তর্গত স্বর্নখালি গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণ বিশ্বাস পেটের টানে পাড়ি দিয়েছিলেন ভিন রাজ্য কেরালাতে বাড়ি ফিরলেন তবে কফিন বন্দী হয়ে ।
গত বুধবার তিনি কর্মস্থলে হটাৎ শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন, হাসপাতালে পৌঁছেও শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালের চিকিত্সক কৃষ্ণ বিশ্বাস কে মৃত বলে ঘোষণা করেন । পরিযায়ী শ্রমিক কৃষ্ণ বাবুর বাড়িতে,”নুন আনতে , পান্তা ফুরোয়” । কোনো রকমে দিন চলে যায়।
এমতাবস্থায় কৃষ্ণ বাবুর বাড়ির পক্ষে তার নিথর দেহ বাড়ীতে আনা দুর্বিষহ ব্যাপার। সেই সমস্যার সমাধান করলো ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি(মার্কসবাদী) কৃষ্ণগঞ্জ এরিয়া কমিটি, কেরালা রাজ্য পার্টির সহায়তায়।
কৃষ্ণবাবুর বাড়ির লোক মারা যাওয়ার খবর শুনে কোনো দিশা না পেয়ে লোকাল সিপিআই(এম) নেতৃত্বের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন সিপিআই(এম) এর কৃষ্ণগঞ্জ এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুপ্রভাত দাস এর সঙ্গে। সুপ্রভাত বাবু তৎপরতার সাথে সেই খবর পৌঁছে দেন, সিপিআই(এম) কেরালা রাজ্য পার্টির কাছে ।
কেরালা রাজ্য পার্টি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়, বৃহস্পতিবার থেকেই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া চালু হয়। সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানে করে কৃষ্ণ বিশ্বাসের কফিন বন্দী দেহ কলকাতা বিমান বন্দরে নিয়ে আসা হয় ও সাথে আসেন স্বর্ণখালী নিবাসী আরো দুজন পরিযায়ী শ্রমিক। সেখান থেকে মৃত দেহ বাড়ীতে আনা হয়।।
বিমান এর যাবতীয় খরচ বহন করে সিপিআই(এম) কেরালা রাজ্য কমিটি। মৃতদেহ বাড়ীতে পৌঁছালে সিপিআই(এম) কৃষ্ণগঞ্জ এরিয়া কমিটির সম্পাদক কমরেড সুপ্রভাত দাশ সহ এরিয়া সদস্য কমরেড আনন্দ বিশ্বাস,স্বপন বিশ্বাস,ঝুনু বৈদ্য ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব বিধান রায়,তপন বিশ্বাস,অনাদি বৈদ্য,দেবাশীষ সরকার সহ আরো অনেকে কৃষ্ণ বাবুর বাড়ীতে পৌঁছান এবং শেষ শ্রদ্ধা জানান এবং মৃতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান ।