মলয় দে নদীয়া:- আজ সকাল নাগাদ অনলাইনে গ্যাস বুক করতে গিয়ে দেখা গেল যে, ৯১১ টাকা! অর্থাৎ দু’সপ্তাহের মধ্যে ২৫ টাকা করে দাম বাড়লো মোট ৫০ টাকা। প্রথম লকডাউন পর্বের শেষ থেকে দ্বিতীয় লকডাউন পর্যায়ের প্রথমে এসে দাম বাড়লো প্রায় ৩০০ টাকার কাছাকাছি। ৬মাস আগে রান্নার গ্যাসের দাম ছিল ৬০০ টাকার আশপাশে। মানুষ তখন থেকেই পরিবারের খরচের আকাশে সিঁদুরে মেঘ দেখছিলেন।
ছ’মাসের মধ্যে সেই ছাই চাপা আগুন বাড়তে বাড়তে কর্মহীন গৃহস্থের অন্দরমহলে ঘটালো দাবানল। একদিকে ঊর্ধ্বমুখী গ্যাস সিলিন্ডার অন্যদিকে ক্রমশ উধাও হচ্ছে ভর্তুকি।
২০১৫ সালে গ্যাসের দাম ছিল ৯৯৮ টাকা ভর্তুকি ছিল ৫৬৩ টাকা। ২০১৯ সালের গ্যাসের দাম হল ৭৯২ টাকা তখন ভর্তুকির পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ২৩৬ টাকা। ২০২০ সালে গ্যাসের দাম ৭০০ ভর্তুকি মাত্র ২০ টাকা। আর এবারে অর্থাৎ ২০২১ সালে ১৪ কেজি গ্যাসের দাম ৯১১ টাকা হলেও ভর্তুকি ১৭ টাকা মাত্র, তাও কখন যে একাউন্টে
ঢোকে তাও অজানা উপভোক্তার।
বিত্তবান কোটিপতি শিল্পপতি গ্যাস কিনবেন ৯১১ টাকা দিয়ে আর ঝুপড়িতে কুঁড়ে ঘরে বাস করে সারাদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে এক-দুশো টাকা উপার্জন করা, অথবা দীর্ঘ লকডাউনে বেরোজগারে মানুষটি মাত্র ১৭ টাকা ভর্তুকি পাবেন ওই একই দামে গ্যাস কিনে।
সরকারি চিন্তাভাবনা আদৌ যে কি তা বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকেই! ২০২০-২০২১ আর্থিক বর্ষে পেট্রোপণ্যের উপর সরকারি ভর্তুকি ছিলো ৪০৯১৫ কোটি টাকা। ২০২১-২০২২ আর্থিক বর্ষে তা কমে দাঁড়ায় ১২৯৯৫ টাকায়। এ থেকেই স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়, নিম্ন উপার্জনের গ্রাহকদের জন্য ভর্তুকি চালুর উদ্দেশ্য ছিল মূলত আন্দোলন স্তিমিত করার সু কৌশল।