মলয় দে, নদীয়া :- নদীয়ার শান্তিপুরেও নাইলন সুতোর হাত থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন এক কৃষক।
শান্তিপুর ঘোড়ালিয়া ঘোষপাড়ার শিবপ্রসাদ ঘোষ পেশায় কৃষক। ফুলিয়া থেকে আম বিক্রি করে সন্ধ্যে ছটা নাগাদ মোটরসাইকেল চালিয়ে ফিরছিলেন বাড়িরদিকে। জাতীয় সড়কের উপরে চটকাতলা এলাকায় প্রায় অদৃশ্য অস্পষ্ট ঝুলতে থাকা নাইলন ঘুড়ির সুতোয় ঠোঁটের উপরিভাগ অংশ গভীর ভাবে কেটে ঢুকে যায়, ঝুলতে থাকে ঠোট! রক্তারক্তি সমস্ত জামাকাপড়! মোটরসাইকেলের গতি অল্প থাকায় নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন শিবপ্রসাদ বাবু। তিনি মোটরসাইকেল একাই ছিলেন, তাই ঘটনাস্থলের এক সহৃদয় প্রত্যক্ষদর্শী তাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে যায়, এরপর শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তেরোটি সেলাই পড়ে এবং ভর্তি থাকেন বেশ কিছুটা সময়।
এ প্রসঙ্গে শিবপ্রসাদ বাবু জানান, কেটে যাওয়া ঘুড়ির শেষাংশ গাছে জড়িয়ে থাকা তা বুঝতে পারিনি প্রায় সন্ধ্যা হয়ে আসার কারণে। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছি! মাত্র কয়েক আঙ্গুল নিচ দিয়ে সুতোটা গেলে, অথবা মোটর সাইকেলের গতি বেশি থাকলে প্রাণনাশের সম্ভাবনা ছিল যথেষ্ট।
দাদা শ্যামচাঁদ ঘোষ জানান কিছুদিন আগেই থানার মোড়ে এক ব্যক্তির আঙ্গুল কেটে গিয়েছিলো গতকাল টিভিতে দেখলাম মা ফ্লাইওভারের ওপর মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন এই সুতর কারণে, প্রশাসনিক তৎপরতা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে শান্তিপুর থানায় লিখিত জমা দিয়েছি আমরা।
শান্তিপুরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এর আগের বছরেও আমরা সচেতন করেছিলাম মানুষকে, এবছরও বেরিয়েছি প্রচার গাড়ি নিয়ে। দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি না হলে শুধু প্রচার করে সচেতন করা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনিক তৎপরতা দরকার।
সামনেই রথ! ঘুড়ি সুতো লাটাইয়ের উৎসব। কর্মহীন গৃহবন্দি করোনা পরিস্থিতির মধ্যে একটু আনন্দ উপভোগ অবশ্যই প্রয়োজন! তবে নিশ্চয়ই অন্যের নিরানন্দ করো না হয়ে। বেশ কয়েক বছর যাবৎ বেড়েছে চীনা মাঞ্জার নাইলন সুতা ব্যবহার। মাঞ্জা দেওয়ার ঝামেলা এড়াতে, এবং দীর্ঘদিন টেকসই হওয়া এই সুতো একটু বেশি দাম হলেও ক্রমাগত বাড়ছে জনপ্রিয়তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্রেতাদের কাছ থেকে জানা যায় অনেক ঘুড়ির সুতো দোকানে সামনে না থাকলেও, নাইলন সুতো যে বাজারে বিক্রি হচ্ছে না এ কথা জোর দিয়ে বলা যায় না! দু-একটি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলেই, অনেকেই গোপন ভাবে বিক্রিও বন্ধ করবে।