মলয় দে, নদীয়া: লকডাউন তুলে দিয়ে অবিলম্বে ট্রেন, বাস চালানো,স্কুল,কলেজ খোলা সহ বেশ কয়েকটি দাবি তুলে শনিবার নদীয়ার শান্তিপুর রেলস্টেশনে বিক্ষোভ দেখালেন নাট্যকর্মী ,বুদ্ধিজীবী, কলেজছাত্রীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ।’ শান্তিপুর জনউদ্যোগ’ -এর পক্ষ থেকে এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে ট্রেন বাস চালু করতে হবে। খুলতে হবে স্কুল, কলেজ।
তাদের অভিযোগ,উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই লকডাউন করে মধ্যবিত্তকে শেষ করে দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে। নাট্যকর্মী রাত্রি চট্টোপাধ্যায়, বিক্ষোভকারী সৌরভ বসাক, গৃহবধূ শুমানি চৌহান, কলেজ ছাত্রী রিয়া সরকারদের অভিযোগ,’ স্পেশাল ট্রেনে যাতায়াত করছেন রেলকর্মী সহ এক শ্রেণীর লোকজন, তাতে করোনা ছড়াচ্ছে না। অথচ দিনের পর দিন ধরে গণ পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ রেখে নিম্নবিত্ত ,মধ্যবিত্ত মানুষকে পুরোপুরি মেরে ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে। শুধুমাত্র ২ কেজি চাল ,৪ কেজি গম দিয়ে রেলের একাধিক হকার, সাধারণ মানুষ , ট্রেনে করে দূরে যারা পরিচারিকা হিসেবে কাজ করতে চান, তাদের শান্ত করে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকার তাদের খবর রাখেন না। স্কুল কলেজ এবং পরীক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ রাখার কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা শুরু হয়েছে। ট্রেন বন্ধ থাকার কারণে মানুষের ভবিষ্যৎ একেবারেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
শান্তিপুর ষ্টেশনে একাধিক রেল পুলিশ কর্মীর সামনেই দীর্ঘক্ষন ধরে চলতে থাকে বিক্ষোভ। এর আগেও মাস্কের বাধ্যতামূলক ব্যবহারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন ওই বিক্ষোভকারীরা। করোনা বিধি পালনের বিরুদ্ধেও তারা সরব হয়েছেন।যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রশ্ন এখন একটাই, বিক্ষোভ আন্দোলনের নামে তারা যদি সরকারবিরোধী কোন কাজ করে থাকেন, তাহলে কেন তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।