অমানবিক কাজ ! সৎ মায়ের অত্যাচার অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত পড়ুয়া জিআরপি তত্ত্বাবধানে পৌঁছালো সরকারি হোমে

Social

মলয় দে, নদীয়া: ১৫ বছর বয়সী এক নাবালকের সাথে অমানবিক ঘটনায় চাঞ্চল্য। বাবা কমল পালের দ্বিতীয় বিবাহ, মা দু বছর বয়সেই মারা যায় বাবা দ্বিতীয় বিবাহ করেন। বিবাহের পরে সৎ মায়ের অত্যাচার শুরু হয় দীপ শঙ্করের উপরে, দীর্ঘদিন অত্যাচারের ফলে অবশেষে আশ্রয় নেয় মামার বাড়ি। সেখান থেকেও ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় নাবালককে। এমনই এক ঘটনা উঠে এলো নদীয়ার শান্তিপুরে।

উল্লেখ্য বিগত দুবছর আগে সৎ মায়ের অত্যাচারে শান্তিপুর খাঁ পাড়ায় মামার বাড়িতে চলে আসে ক্লাস এইটের ছাত্র দীপ শঙ্কর পাল। এর পরেই শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল স্কুলে ভর্তি হয় পড়াশোনার জন্য, মামার বাড়িতে থেকেই এতদিন পড়াশোনা করছিল দীপ শংকর। এখানেও মামাদের অত্যাচারে আবারও ব্যারাকপুরে বাবার বাড়িতে চলে যায় দীপ। গত কাল শান্তিপুরে মামার বাড়িতে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিতে এলে ঘটে অমানবিক ঘটনা। মামারা বাড়ি থেকে বের করে দেয় ক্লাস এইট এর ছাত্র দীপ শঙ্কর কে, শুধু এখানেই শেষ নয় মামার বাড়ি থেকে বলা হয় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও না হলে আত্মহত্যার পথ বেছে নাও, তখনই ওই ছোট্ট বালকটি বাঁচার তাগিদে ঘুরে বেড়ায় শান্তিপুরের এদিক-ওদিক।

সন্ধ্যা নামার পরে আশ্রয় নেয় শান্তিপুর রেলস্টেশনে তখনই নজরে পড়ে শান্তিপুর রেল জিআরপি পুলিশের। ১৫ বছর বয়সী বালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জিআরপি পুলিশ সমস্ত ঘটনা জানার পরে জিআরপি পুলিশ যোগাযোগ করে শান্তিপুর থানার সাথে। শনিবার শান্তিপুর রেল জিআরপি পুলিশ, আরপিএফ ও শান্তিপুর থানার যৌথ উদ্যোগে ওই বালকে পাঠানো হয় রানাঘাট জিআরপিতে। সূত্রের খবর ওই বালককে এখন রাখা হবে হোমে।

Leave a Reply