মলয় দে, নদীয়া:- সংস্কৃত শব্দ YUJ থেকে বাংলার যোগ শব্দটির উদ্ভব! খ্রিস্ট জন্মের ৫০০ বছরের মধ্যে লিখিত প্রামাণ্য পাওয়া গেলেও, বিংশ শতাব্দীতে যোগ সাধনের প্রাশ্চাত্য দেশগুলোকে বা সারা বিশ্বে প্রসার লাভ করে ভারতীয় যোগাচার্য্যগণের মাধ্যমে। হিন্দু সাহিত্যের যুগ শব্দটি প্রথম উল্লেখিত হয়েছে কঠোপনিষদে। বৈদিক সংহিতায় সিন্ধু সভ্যতায়, এর উল্লেখ পাওয়া যায়।পরবর্তীতে উপনিষদ সমূহ মহাভারত পতঞ্জলি যোগসূত্র নানান গ্রন্থে। কর্কট রোগ, স্কিৎজোফ্রেনিয়া, হাঁপানি হৃদরোগ নিবারণে ভারতীয় এই সাবেকি এই শারীরবৃত্তীয় ব্যায়াম অনুকরণযোগ্য হয়ে ওঠে পাশ্চাত্য দেশগুলিতে সরকারিভাবেও। হিন্দু ধর্মের আস্তিক 6টি শাখার অন্যতম এই যোগ, জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মেও পরিলক্ষিত হয়। পতঞ্জলি রচনায় যম, নিয়ম, আসন, প্রাণায়ম, প্রত্যাহার, ধারণা, ধ্যান, সমাধি এই অষ্টাঙ্গ যোগে আকৃষ্ট হয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দও।
২০১৪ সাল থেকে প্রতি বছর ২১ জুন দিনটি ‘বিশ্ব যোগ দিবস’ হিসাবে পালন করে রাষ্ট্রপুঞ্জ। ২০১৬ সালে বিশ্বের প্রায় ২০ কোটি মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন এই যোগ দিবসে। ২০১৭-তে ভারত ছাড়াও চিন, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, লেবানন, কানাডা-সহ মোট ১৮০টি দেশে পালিত হয়েছে ‘বিশ্ব যোগ দিবস’।
অন্যান্য বছর পশ্চিমবঙ্গেও পালিত হয় আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। কলকাতার ময়দানে এবং বিমানবন্দরেও যোগচর্চার মাধ্যমে পালিত হতে দেখা গিয়েছে। শহর থেকে শহরতলী সর্বত্রই সাড়ম্বরে পালিত হয় যোগদিবস। তবে মহামারি এই উদযাপনে খানিকটা বাধা তৈরি করলেও স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ নিজেদের মতো করেই পালন করে থাকেন দিনটি।
প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে সপ্তম যোগা দিবস পালনের মাধ্যমে বার্তা দেন ” রোগ নিরাময়ে যোগা”। সেই মতন সারা দেশ তথা রাজ্যব্যাপী নিজেদের মতন করে পালিত হচ্ছে যোগা দিবস। নদীয়া জেলার শান্তিপুরের বড়বাজার ফেরিঘাটে আমাদের ক্যামেরায় ধরা পড়লো এমনই এক চিত্র! ওম যোগা সেন্টার এর তত্ত্বাবধানে অনুশীলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের।