দেবু সিংহ,মালদা: ১০০শতাংশ নিশ্চিত চকুরি এমন বিজ্ঞাপন ও প্রচারপত্র বিলি করে জমিয়ে বসেছিল ছিল জালিয়াতির কারবার। গত ছয় বছর ধরে মালদা জেলার বুকে পুলিশ প্রশাসন দপ্তরের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে চলছিল সরকারি চাকুরিতে নিয়োগের নামে ফাঁদের কারবার। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। রাজ্য পুলিশ দপ্তরের সিভিক ভলেন্টিয়ারের নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতেই নজরে আসে সাইবার ক্রাইম দপ্তরের কর্তাদের। শুরু হয় তদন্ত। আর তাতেই চক্ষু চড়কগাছ জেলার পুলিশকর্তাদের। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে রাজ্য পুলিশ দপ্তরে সিভিক ভলেন্টিয়ার পদে নিয়োগের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের নাম লিপিবদ্ধ করার জন্য আবেদন করা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়াতে ভয়েস রেকডিং এর এমন বিজ্ঞাপন সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে মালদা জেলা পুলিশ প্রশাসন। তড়িঘড়ি গ্রেপ্তার করা হয় এই কারবারের এক পান্ডা সুমন গুপ্তাকে। মালদা থানার পুলিশ সুমন গুপ্তাকে গ্রেপ্তার করে শুরু করেছে জেরা। রাজ্য জুড়ে এই প্রতারনার কারবার ছড়িয়ে রয়েছে বলে অনুমান পুলিশকর্তাদের। সিভিক ভলেন্টিয়ার পদে কেবল এই জেলাতে নিয়োগ হবে তা নয়। রাজ্য জুড়েই নিয়োগ হবে উল্লেখ রয়েছে এমনই। আর তাতেই তদন্তকারী পুলিশকর্তারা মনে করছেন এই কারবারে রয়েছে আরো বেশ কয়েকজন। খোঁজ চলছে তাদেরও। জেলা পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি ক্যামেরা সামনে কিছু না বললেও এই কারবার চক্রটি সক্রিয় ছিল তা স্বীকার করে নিয়েছেন। পুলিশের সিভিক ভলেন্টিয়ারের নামে এমন প্রতারণা চক্রের হদিস পেয়ে তিনি হতভম্ব। এই দিকে ধৃত সুমন গুপ্তা জানান তিনি নির্দোষ। ভুলবশতঃ এমন হয়েছে। শিলিগুলির বাসিন্দা জয়ন্ত প্রামাণিকের কাছ থেকে এমন তথ্য পেয়েছিলেন। এই সংস্থার এক কর্মী জানান তারা বেকার যুবক যুবতীদের কম্পিউটার,নাসিং ট্রেনিং,সেলাই মেশিন,নাচ সহ একাধিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। তাছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মী নিয়োগের তথ্য থাকলেও সংস্থার ছাত্র ছাত্রীদের জানানো হয়। তদন্তকারী পুলিশকর্তাদের অনুমান বেকার যুবক যুবতীদের প্রশিক্ষিণের আড়ালেই চলত এই কারবার।বিগতদিনে এই বিষয়টি নজর এড়িয়ে গেলেও আগামীতে কড়া নজরদারিতে থাকবে এমন সব ভুঁইফুড়ো সংস্থাগুলি। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন স্বচ্ছ মমতা ব্যানার্জীর প্রশাসন। সক্রিয় পুলিশ। তাই প্রতারনা চক্রটি ধরা পড়ে এবং গ্রেপ্তারও হয়।