মিশর ভ্রমণ ( ষষ্ঠ পর্ব )

Social

নিউজ সোশ্যাল বার্তা, সঞ্চিতা মন্ডল :  নীল নদের উপর শেষ রাত্রি কাটিয়ে ঘুম ভাঙলো মোবাইলের অ্যালার্মে। তখন ঘড়িতে রাত্রি ২.৪৫ উঠতেই হবে। মনে মনে ভাবছি এত সুন্দর নীল নদের উপর ক্রুজের রুমে এত সুন্দর বিছানাতে সবাই ঘুমোচ্ছে আর আমাদেরকে উঠতে হচ্ছে। ঘুম থেকে উঠতে বিরক্ত লাগলেও কিছু করার নেই। উঠে ফ্রেশ হয়ে স্নান সেরে সেজে গুজে লাগেজ প্যাক করে রুমের বাইরে রেখে ৩.৪৫ মিনিটে হাজির হতে হবে ক্রুজের লবিতে। যথা সময়ে সব কিছু করে হাজির হলাম দেখলাম আমরা ৪ জন ছাড়াও আমাদের গ্রুপ এর আরো ৪ সঙ্গী হাজির তার সঙ্গে টুর ম্যানেজার টুর গাইড। আমাদের ৮ জন কে টুর ম্যানেজার এবং টুর গাইড একটি বাসে তুলে দিলো । আমরা যাচ্ছি এত ভোর বেলায় বেলুন রাইডের জন্য । যেটার জন্য আমরা টুর ম্যানেজার কে ১৩০ ডলার দিয়েছি। জিজ্ঞাসা করে দেখেছি বেলুন রাইড এর জন্য সর্বোচ্চ চার্জ ১০০ ডলার। বোঝাই যাচ্ছে বাকি এক্সট্রা টাকাটা টুর ম্যানেজার চুরি করল আমাদের কাছ থেকে। ম্যানেজার টুর গাইড বাকি মেম্বারদের নিয়ে এবং আমদের প্যাকেট ব্রেকফাস্ট নিয়ে আসবে। বাসের মধ্যে ছিলো আরো দুজন অন্য দেশের ভ্রমণার্থী। বাস থামলো। আমরা উঠলাম একটি ছোটো বোটে । তখনও অন্ধকার । বোট উঠেই আমাদের একদিকে বসার জায়গা ছিল। সেইখানে ৮ জন বসলাম। আমাদেরকে বোট এ চা কফি বিস্কুট কেক খেতে দিলো। বোট ছুটে চলল অন্ধকার নীল নদের উপর দিয়ে ।

এর মধ্যে বেলুন এর ক্যাপ্টেন আমাদের সব কিছু বুঝিয়ে দিল । বোট এ করে আমরা যাচ্ছি নীল নদীর পশ্চিম তীরে। বোট পৌঁছল তারপর আবার বাসে চাপলাম। কিছুক্ষণ পরেই চলে এলো সেই প্রতীক্ষিত বেলুন স্টেশন। আমরা বাস থেকে নেমে দেখলাম বেলুন গুলো শোয়ানো আছে। কিছুক্ষন পরের বিরাট আওয়াজ। বেলুন গুলো ফোলানো হচ্ছে গ্যাস দিয়ে। আগুন জ্বলছে। দারুন লাগছে। এত দিন দেখেছি টিভিতে । জীবনে প্রথমবার বেলুন এ চাপবো ।

তখন আস্তে আস্তে ভোরের আলো ফুটছে। ক্যাপ্টেন আমাদেরকে আগে যা বুঝিয়ে দিয়েছিল বোট এ সেই মত আমাদের কে নিয়ে লাফানো ঝাপানো দৌড় দৌড়ি শুরু করে দিলো। জোরে শ্বাস নিতে বললো। আমাদের বেলুন একদম ওড়ার জন্য তৈরি। আমরা এক এক করে বেলুন বাস্কেট এর মধ্যে ঢুকে পড়লাম। বেলুন এর বাস্কেট ৭ টা খোপ আছে। তার মধ্যে ৬ টা খোপে ট্রাভেলার থাকবে। এক একটি খোপে ৪ জন করে মোট ২৪ জন। আরেকটি খোপে ক্যাপ্টেন আর গ্যাস সিলিন্ডার। আমাদের সবার উত্তেজনার পারদ চরমে উঠে গেছে। আর মনে মনে ভাবছি এত কষ্ট করে ভোর বেলাতে ঘুম থেকে ওঠা সার্থক হয়েছে। আমাদের বেলুন উড়তে শুরু করলো। আমরা সবাই চিৎকার করছি আনন্দে। তার সঙ্গে সারা আকাশে দেখছি বেলুন উড়ছে। কিছুক্ষন পরেই ক্যাপ্টেন বললো পূর্ব আকাশের দিকে তাকান । তখন সবে সূর্য লাল হয়ে উঠছে। যাকে বলে একথাতে অসাধারণ মন কে জিজ্ঞাসা করছি আমি কি দেখছি? সূর্য উদয় দেখানোর জন্য বেলুন রাইড এত ভোর বেলাতে করা হয়। সবাই ফটো তুলতে ভিডিও করতে ব্যাস্ত।।ক্যাপ্টেন বলে উঠলো আপনারা এনজয় করছেন? আমি বললাম এটা এনজয় না করে কেও থাকতে পারবে? আমাদের বেলুন টিকে ক্যাপ্টেন সব চেয়ে উপরে উঠিয়েছিলেন। ওদের লিমিট ১৬০০ ফুট। আমাদের কে উঠিয়েছিলো ১৭০০ ফুট। ক্যাপ্টেন বেলুন থেকে দেখালো ভ্যালি অফ কিংস , ভ্যালি অফ কুইন নীল নদ সহ অন্যান্য জায়গা। তার মধ্যে দেখতে পেলাম একটা বেলুন পাহাড়ের উপর ল্যান্ড করেছে। ক্যাপ্টেন কে বললাম আমাদের বেলুনটি কে পাহাড়ে নিয়ে যেতে। ক্যাপ্টেন বললো ওই ভাবে বেলুন নিয়ে যাওয়া যায় না আপনাদের আগেই বলেছি।যেমন উইন্ড এর গতিপ্রকৃতি থাকে সেই ভাবে চলে।ক্যাপ্টেন বললো আমি এখানকার সবচেয়ে নিখুঁত ভাবে কাজ করি। বেলুন টিকে নিয়ে যেখান থেকে উড়িয়েছি সেইখানেই বেলুন টিকে ল্যান্ড করবো। সত্যি এটা একটা বিরাট ব্যাপার। কেননা বেশির ভাগ বেলুন গুলি কে দেখছিলাম যেখানে সেখানে ল্যান্ড করেছে। অবশেষে আমাদের বেলুন একদম বেলুন স্টেশন এই ল্যান্ড করলো এক ঘন্টা জার্নি পর।। আমরা এক এক করে বেলুন বাস্কেট থেকে নেমে এলাম এক রাশ আনন্দ নিয়ে। বেলুন রাইড করার জন্য সার্টিফিকেট দিল। আমরা আর আমাদের বেলুন রাইড এর ভিডিও নেইনি । কেননা ১৫ ডলার আরো দিতে হবে বলে।

বাসে উঠে বসলাম । বাসটি আমাদেরকে একটি চা দোকানের সামনে নামিয়ে দিল। আমাদের গ্রুপ এর বাকিরা এইখানে আসবে। আধা ঘন্টা পর আমাদের গ্রুপ এসে গেলো । এরপর যাবো আমরা দেখতে ভ্যালি অফ কিংস দেখতে।

বাসে উঠলাম। সবাই জিজ্ঞাসা করলো বেলুন রাইড এর অভিজ্ঞ্যতা কেমন। সেটা আর বলার দরকার পড়ে নি। আমাদের মুখের হাসি জানান দিচ্ছিল। বাস রওনা দিল ভ্যালি অফ কিংসের দিকে। পৌঁছালাম টিকিট হাতে ধরালো। ওখানকার গাড়িতে চেপে পৌঁছালাম । টুর গাইড বোঝাতে শুরু করলো আমাদের । ভ্যালি অফ কিংস হচ্ছে ফ্যারাও দের মমি রাখার জায়গা। যদিও মমি গুলো ভেতরে নেই। সবচেয়ে চর্চিত তুতেনখামেনের মমি টি ওখানেই রাখা আছে। সেটার জন্য আলাদা টিকিট। ওই টুম্বের ভেতর এ খুব সুন্দর হাইরোগ্লিফী তে লেখা আছে এবং হারোগ্লিফি গুলো রঙিন। দেখতেও সত্যি সুন্দর। আমরা রমেসেশ ৪ রেমসেস ৯ দেখলাম। আর অতিরিক্ত১০০ পাউন্ড টিকিট কেটে রমেসেশ ৬ এর টুম্বের ভেতর ঢুকেছিলাম। তবে তুতেন খামেনের টুম দেখার জন্য আমাদের আরো ২৩০ পাউন্ড দিতে হোত। তাই দেখি নি। কিন্তু পরে মনে হয়েছিল দেখা উচিত ছিল। তুতেনখামেনের মমি ওখানেই রাখা আছে। আমরা ভ্যালি অফ কিংস থেকে বেরিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম ভ্যালি অফ কুইন এ কেনো ঢুকতে দেওয়া হয় না? টুর ম্যানেজার বললো ভ্যালি অফ কুইন এ শুধুমাত্র স্পেশাল পারমিশন নিয়ে আর্কিয়োলজিস্টদের ঢুকতে দেওয়া হয় রিসার্চ এর জন্য। ওখানে নাকি হায়রোগলিফি এর কাজ রং খুব সুন্দর। বেশি লোক জন গেলে নষ্ট হয় এ যেতে পারে তাই। এরপর বাসে উঠে বসলাম তখন রোদের তেজ ভালই। গরম বিশাল লাগছে কেননা জায়গাটার চতুর্দিকে পাহাড় সান্ডস্টনের তৈরি। এরপর এর গন্তব্যে আলবস্টার পাথর এর ফ্যাক্টরি।

আলাবস্টার বলে ওখানে যে পাথর পাওয়া যায় সেটা দিয়ে নানা রকমের ঘর সাজানোর সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরি করে। ওখানে পৌঁছে দেখলো কি ভাবে ওরা তৈরি করে। ঢুকলাম ভেতরে। কিন্তু জিনিস এর দাম প্রচুর। গ্রানাইট বাসলট পাথর দিয়ে তৈরি জিনিসও দেখলাম। আমাদেরকে ওখানেও দিল ওই জবা ফুল দিয়ে তৈরি পানীয়। এই সব দেখে শুনে বাসে উঠতে যাবো সেই সময় আমাকে একটি লোক মানে যারা দেখাচ্ছিল কিভাবে পাথর গুলো থেকে ওরা জিনিস বানায় সে ডাকলো।। গেলাম। আমার হাতে ওই দুটো ছোট ছোট পাথর এর টুকরো দিয়ে বলছে এটা নিয়ে যাও আর ১ ডলার দাও। আমি বললাম বাবা এর তো ১ডলার এর নিচে কিছুই বোঝে না। আমি বললাম আমি পাথর এর জায়গার মানুষ। আপনি এই পাথর গুলো রাখুন আর আমাকে দিন ১ ডলার।

বাস ছাড়লো। বাস এইবারের পরের গন্তব্যে পৌঁছলো সেটা হলো আল দেইর আল বাহারি টেম্পল। গাইড ঢুকেই বোঝাতে শুরু করলো। আমার বোঝার একটুও আর এনার্জি ছিল না। প্রচণ্ড গরম তাছাড়া ওই মন্দির টি দেখার জন্য প্রায় ১ কিমি হাটতে হবে। গেলাম হেঁটে হেঁটে। ভেতরে তেমন কিছু দেখার নেই। এখনো দেখছি খোড়া খুড়ি চলছে নানা জায়গাতে। ফারাওদের কোনো মমির সন্ধান এর উদেশে্ । মনে মনে বললাম এই সব দেখে যে আমাদের দেশ মাটির নিচ খুডে থাকে তেল কয়লা এই সব এর জন্য। আর এটা মাটি খুড়ছে মমিএর আশায়। ওই রোদের মধ্যে হেঁটে এসে বাসে বসলাম। বাস এইবার যাচ্ছে দুপুর এর খাবার এর জন্য।

দুপুরের খাবারের জন্য যে রেস্টুরেন্ট এ নিয়ে গেলো সেইখানে এত দিনের মতো বুফে লাঞ্চ নয়। শেফ এর পছন্দ খাবার। খাবারে ছিলো রুটি একটা ওই ফ্রাই সব্জি। স্টিকি রাইস আর তন্দুরি চিকেন।

খেয়ে বাসে উঠলাম। এইবার যাব আজকের শেষ সাইটসিং সেটা হলো কর্ণক টেম্পল। বাস যেখানে থামলো সেইখানে থেকে কর্নাক টেম্পল অনেক টা ভেতরে যেতে হবে। সূর্য তখন বেশ তীব্র জোরে তার কিরণ দিচ্ছে। আজকে সবাই খুব ক্লান্ত হয়ে গেছে তার মধ্যে আমরা একটু বেশি। কিন্তু মনে জোর প্রচুর।

টিকিট হাতে ধরিয়ে দিল টুর ম্যানেজার। হাঁটা শুরু করলাম মন্দির এর উদেশ্ষে। গাইড বোঝাতে শুরু করলো মন্দির নিয়ে। আমি তো কোনো কিছু আগেও শুনি নি তেমন আজকে তার ব্যাতিক্রম হলো না। প্রচুর ক্লান্ত আজকে। ছবি তুলতে শুরু করে দিলাম। গোটা মন্দির টি অনেক বড়ো । ঘুরে ঘুরে দেখলাম।। মন্দির এর ভেতরে একটা পুকুর এর মত করা আছে। মন্দির এর ভেতর ভালো করে ঘুরে ছবি তুলে বাইরে বেরিয়ে এলাম। বাইরে অনেক গুলো স্ফিংস এর মূর্তি। তারপর অনেক টা হেঁটে এসে বাসে উঠলাম। বাস ছাড়ল টুর ম্যানেজার বলে উঠলো এই গোটা ট্যুরে র মধ্যে আজকের দিন টি ছিলো সবচে ব্যস্ততম এবং হেকটিক আমরা যেটা খুব ভালো ভাবে শেষ করলাম সব কিছু দেখে। এইবার আমরা এইখান থেকে যাবো সোজা হূর্গাধা এর উদেশ্য। নাম টা শুনে মনটা আবার খুশিতে ভরে উঠল। আবার সেই ভূগোল এর বই এর পাতায় পড়া লোহিত সাগর দেখতে পাবো। বাস ছুটে চলেছে সাহারা মরুভূমির উপর দিয়ে।মাঝখানে একটা জায়গায় গিয়ে দাড়াল বাথরুম toilet এর জন্য। সব জায়গাতেই টাকা দিয়ে বাথরুম।ওই দোকানটির কাছে দুজন মহিলা একটা খচ্চর নিয়ে দাড়িয়েছিল। বেশ ওদের গয়না পরে কালো ড্রেস পরে। ওই দুজন মহিলার ছবি তুলতে যাচ্ছি তখন বলে উঠলো ২ ডলার লাগবে আমাদের ছবি তুললে।আমি বললাম দরকার নেই তুলবো না ছবি। পরে টুর ম্যানেজার বললো ওরা নোমাড উপজাতি। এরা সাহারা মরুভূমির উপজাতি। এদের মূল জীবিকা পশুপালন। এদের কথা আমার ভূগোল বইতে অনেকবার পড়েছি। যারা হুরগাধা থেকে ডিজার্ট সাফারি করতে যায় তখন এদের দেখতে পায়। যাই হোক বুঝলাম এখানকার লোকেরা ডলার টি খুব ভালো বোঝে তাতে কেও শিক্ষিত হোক বা না হোক। বাসে উঠে বসলাম। বাস ছুটে চলেছে রাস্তা দিয়ে দুই দিকে মরুভূমি। অন্ধকার হয়ে গেছে আকাশ চাঁদ ঝকঝক করছে মরুভূমি।। চাঁদের আলোয় মরুভূমি কেমন লাগে সেটাও দেখা হয়ে গেলো। এরপর প্রায় ৪.৩০ ঘন্টার বাস জার্নি করে গাইড বললো আমরা হুর্গাধা তে ঢুকে পড়েছি ।

রাত্রি হয়ে গেছে তাই আপনারা এখন লোহিত সাগরকে বুঝতে পারছেন না। শহরটি রাত্রের আলোয় খুব সুন্দর। বেশির ভাগ নামি দামী হোটেল এবং প্রতিটা হোটেলের প্রাইভেট বীচ আছে। এইসব শুনে আমাদের হোটেল এসে গেলো। হোটেল এর নাম Mercure। হোটেলে ঢুকলাম।ঢোকার সাথে সাথে আমাদের বয়স্ জিজ্ঞাসা করলো সেটা শুনে নীল রং এর একটি ব্যান্ড বেঁধে দিলো। আর বাচ্চাদের হাতে যারা ১৮ বছর এর নিচে তাদের হতে হলুদ রং এর ব্যান্ড বেঁধে দিল। এই ব্যান্ড টির মানে আমাদের প্যাকেজ এই হোটেল এ all inclusive .. ।সারাদিন ধরে যতখুশি যেকোনো ড্রিংক খাবার খাওয়া যাবে। যাদের হাতে নীল রং এর ব্যান্ড তাদের অ্যালকোহল দেবে। যাদের হাতে হলুদ ব্যান্ড তাদেরকে অ্যালকোহল দেওয়া যাবে না। মানে হোটেল দেবে না । হোটেল এ শুনেছি ইন্টারনেট wifi পাওয়া যাবে। আবার মোবাইলের বের করে যুদ্ধ সবাই মিলে শুরু করে দিলাম মোবাইল নিয়ে। কেননা ক্রুজ এ তিন দিন কেও ইন্টারনেট পাই নি। ক্রুজ এ paid ইন্টারনেট। লাগেজ এ রুম নম্বর লিখে দিয়ে চলে গেলাম ডিনার করতে। দেখলাম বিরাট বড়ো হোটেল বিরাট পরিসর নিয়ে। দারুন ! রাত্রের খাবার সেরে রুমে যাবো। রুম খুঁজে পেতেই অনেক টা সময় লেগে গেলো।পথ নির্দেশ করা আছে কোনদিকে কোন বিল্ডিং হবে। যাক এই সব করে রুম এ পৌঁছালাম। লাগেজ দেখি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। রুমের চাবি কার্ড এর সঙ্গে আরও দুটি কার্ড দিয়েছিল। সেইগুলো তোয়ালে নেওয়ার জন্য। ওই দুটো কার্ড দেখিয়ে তোয়ালে নিতে হবে। আবার তোয়ালে জমা দিয়ে কার্ড নিতে হবে।চেক আউট এর সময় রুমের চাবির দুটো কার্ড তার সঙ্গে এই তোয়ালে কার্ড দিতেই হবে। হারালে ফাইন দিতে হবে। রুমে বিরাট বড়ো। রুমের ভেতরে বাচ্চাদের সোয়ার জন্য আলাদা রুম আছে। ফ্রেশ হয়ে সোজা ঘুমের দেশে পাড়ি।কালকে সকাল সকাল ওঠার কোনো তাড়া নেই। টুর ম্যানেজার বলে দিয়েছিল কালকে লেজার টাইম। যারা কোরাল দেখতে স্নোরকেলকিং করবে তারা ব্রেকফাস্ট করে লবি তে রেডী থাকবে সকাল ১০.৩০ সময়। এই ভেবে আনন্দে ঘুমিয়ে গেলাম।(ক্রমশ)