মলয় দে, নদীয়া :- অনেকটা জাদু খেলার সম্মোহনবিদ্যার মতন। যদি আপনার মস্তিষ্কপ্রসূত তাই হয় তাহলে, ঘটনাটি অনেকটা সহজ হবে আপনার কাছে। বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর গায় আটকে যাচ্ছে , হালকা-পাতলা চামচ, খুন্তি, পয়সা, চাবি, মোবাইল আরো কত কি!তাই অনেকেই চেষ্টা করে হতবাক হচ্ছেন!
নদীয়ার শান্তিপুরের গোপাল পাড়ার বাসিন্দা একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখে অত্যন্ত দুশ্চিন্তায় ছিলেন সাধারণ একটি বিষয় ক্রমশ গুজবের আকার ধারণ করছে! যার ফলে ব্যাহত হতে পারে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া।
সকালে শারীরিক ব্যায়াম করার পর, তার মেয়েকে বলেন, এ সময় আঠালো ঘামে, এ ধরনের অনেক কিছুই আটকানো সম্ভব দেহের সাথে। যথারীতি তিনিও হয়ে ওঠেন ম্যাগনেট ম্যান। তবে তিনি কোন ছলনার আশ্রয় না নিয়ে সরাসরি সাংবাদিক ডেকে বিষয়টি উপস্থাপিত করার অনুরোধ করেন মূল ভ্যাক্সিনেশন ব্যাহত না হওয়ার জন্য, এবং তিনি যে ভ্যাকসিন নেননি তাও স্পষ্ট করেন ।
এ ব্যাপারে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপারেন্টেন্ড ড:তারক বর্মন জানান, কোভিশিল্ড হোক বা কো-ভ্যাকসিন! কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি এখনো পর্যন্ত! আর মানব দেহ কোনভাবেই, চুম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি হয় না এমনকি অনেকেই বলে থাকেন কৃত্তিম হৃদযন্ত্র লাগানোর ফলে হতে পারে, সে চিন্তা ভাবনা একেবারে ভুল। তাই এ ধরনের গুজবে কর্ণপাত করে, ভ্যাকসিন না নেওয়ার মতো কোন বোকামি করা উচিত নয়।
বিজ্ঞানের বিভিন্ন শিক্ষক অধ্যাপকদের কাছ থেকে জানা যায়, চিরুনি দিয়ে মাথা আঁচড়ানোর পর কাগজের টুকরো আকর্ষণ করার নতুন কিছু ঘটনা বিজ্ঞান ভিত্তিক, তবে মানবদেহের চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি হওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব। লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে, হাতার তুলনায় খুন্তির সারফেস অনেকটাই বেশি, তাই শরীরের আঠালো ঘামের সাথে, এবং একটু আঘাত করে শরীরে বসানোর ফলে বাইরের বাতাসের সর্বমুখী চাপের কারণে কিছুক্ষণ আটকে থাকছে তা, মোবাইলের ক্ষেত্রেও তার পেছনের ফোম রেকসিন বা লেদারের খাপটির উপরিতল খসখসে হওয়ার কারণে আটকে থাকছে তবে, তা অতি সন্তর্পনে হাঁটাচলা করলে বা স্থির থাকলে তবে এটা সম্ভব।