নদীয়ায় খুলে গেল তাঁত কাপড়ের হাট! পুনরায় চালু হলেও গণপরিবহন মাধ্যম বন্ধ থাকার কারণে স্থানীয় ক্রেতারাই ভরসা

Social

মলয় দে, নদীয়া :- করোনা পরিস্থিতির লাগাম টানতে মানবশৃংখল নষ্ট করতেই মূলত লকডাউন ব্যবস্থা দীর্ঘদিনের জন্য চালু হয়েছিলো এর আগে ! করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পরবর্তীতে সীমিত সময়ের জন্য আংশিক লকডাউন চালু হয়েছে। তবে বন্ধ রাখা ছিল মানবশৃংখলের অন্যতম প্রধান কারণ জনসমাগম যেটা সরাসরি হাটের ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে দিয়ে সংক্রামিত হতে পারে। তবে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ভ্যাকসিনেশনের পর এবং মুখ থুবড়ে পড়া তাঁত শিল্পের কথা মাথায় রেখে জেলার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কম হওয়ার সাথে সাথেই জেলা প্রশাসন ব্যবসায়ী সমিতি গুলির অনুরোধের মান্যতা দিয়ে, স্যানিটাইজাইজ মাস্ক ব্যবহারের করা বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে গতকাল খুললো শান্তিপুরের প্রধান তিনটি তাঁত কাপড়ের হাট। পরশু অবশ্য স্টেশন সংলগ্ন একটি তাঁত কাপড় এবং বস্ত্র বিপণন হাট খুলে গিয়েছিলো। এই চারটি এবং থানার মোড় এর কাছে একটি রেডিমেড হাট মিলিয়ে প্রায় ছয় হাজার বিক্রির চালার ব্যবস্থা থাকলেও, গন পরিবহন মাধ্যম বন্ধ থাকায় বেশকিছু বিক্রেতা আসতে পারেননি, তাই কাপড় নিয়েবিক্রি করতে মশার ক্ষেত্রে পারস্পরিক দূরত্ব লক্ষ্য করা যায়। অপরদিকে দূর-দূরান্তের ক্রেতারাও অনেকেই আসতে পারেননি। তাই খুব বেশি জনসমাগম লক্ষ্য করা যায়নি। অধিকাংশ বিক্রেতারাই জানান, গত এক বছরের মধ্যে সূতা এবং তাঁত শাড়ি প্রস্তুতের অন্যান্য উপাদানের অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে, শাড়ি পিছু ৩০ থেকে ৫০ টাকা খরচ বেড়েছে! ক্রেতাদের স্বল্প আগমনে সেই অনুযায়ী দাম পাচ্ছেন না তারা।

অপরদিকে বিক্রেতারা জানান, ব্যক্তিগত গাড়ি ভাড়া করে শাড়ি নিয়ে যেতে খরচ হচ্ছে বেশি, স্বভাবতই বাজার খারাপ এই অবস্থার মধ্যে দিয়ে উপযুক্ত দামে বিক্রি করা কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। তবে জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে দোকানে নতুনত্ব কিছু মজুত রাখা দরকার, তাই এত অসুবিধা সত্তেও আসতে হয়েছে। ঘোষ মার্কেটের প্রোপাইটার বিভাস ঘোষ জানান মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর মহানুভবতায় তাঁত শিল্পীরা, স্থানীয় ভাবে অল্প কিছু পরিমাণ কাপড় বিক্রি করে কিছুটা আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে। অন্যদিকে শান্তিপুরের প্রধান জীবিকা কিছুটা সফল হওয়ার ফলে অর্থনৈতিক সাম্যতাও ফিরবে। এবং এই পেশার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষযুক্ত বহু পরিবার উপকৃত হয়েছেন হাট খোলার ফলে ।

Leave a Reply