মলয় দে, নদীয়া:- বাংলার পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ বীরভূম ,বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় অনেক কৃষক বাড়িতে বা মাঠে দেখা যায় এই ফলের গাছ। তবে , কলমের চারা না হলে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টক জনিত কারণে তা বিক্রির উপযোগী হয় না।
বছরখানেক আগেও, ট্রেন পথে চার পাঁচ টাকা প্রতি পিস, ফলের দোকানে আকারে বড় হওয়ার কারণে একটু বেশি! তবে করোনাকালে ফলের রানী হয়ে উঠেছে মৌসুম্বি। ডাক্তার বাবুদের, কথার মান্যতা দিয়ে বেড়েছে চাহিদা, দামের দিক থেকে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণের পথে। প্রতি পিস ছোট গুলি ১২-২০ টাকা বড় গুলি ২০-২৫ টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছে না , ফলে নিম্ন মধ্যবিত্তদের হাতের নাগাল থেকে বেরিয়ে গেছে মৌসুম্বি।
তবে পকেট অল্প পয়সা থাকলেও, হতাশ হবেন না।অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় টমাটো, পাতিলেবু তো থাকলোই, এমনকি লিচু, মালটা পেয়ারা আনারস বেদানার মতো ফল। দুধ, টক দই, ছানা। তুলসী থানকুনি, গোলমরিচ, মেথির মতো বেশ কিছু খাবার রোগ প্রতিরোধে অনেকটা বাড়িয়ে তোলে। তবে নারিকেল তেলে লরিক এসিড ও ক্যাপ্রিলিক অ্যাসিড করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে জোরদার লড়াই করে, রসুনে অ্যালাইসিন নামক একটি প্রাকৃতিক উপাদান ভাইরাসের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত কাজ করে। ১ টেবিল চামচ রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ মধু একটা লবঙ্গ একসঙ্গে প্রতিদিন নিয়মিত খেলে, ইমিউনিটি বৃদ্ধির জন্য অন্য কিছু চিন্তা করতে হবে না। তবে অবশ্যই অত্যাধিক মসলাদার খাবার এবং তেলেভাজা ফাস্টফুড থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন।
তাই হাতের নাগাল থেকে দামের কারণে ফসকে যাওয়া মৌসুম্বি নিয়ে, ভেঙ্গে পড়ার কিছু নেই। ডাক্তার বাবু দের মতে বরং কমদামের মরশুমি কমদামের ফল, আনাজ শাকসবজি খাবারে ভরসা রাখুন।