দীপ রায় ,নদীয়া: হন্যে হয়ে শহরের এমাথা থেকে ওমাথা বাইক নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন সৌগত। হন্তদন্ত হয়ে মোটরসাইকেলে ওঠার সময় পাশে দাড়িয়ে থাকা একজন ভদ্রলোক জিজ্ঞাসা করলেন কী সমস্যা ? থমকে গিয়ে তিনি একটু রেগেই বললেন কি বলি দাদা থার্মোমিটার !
জানা গেল নিজের একজন পরিচিত ব্যক্তির কারোনা আক্রান্ত হয়েছেন কিন্তু তার থার্মোমিটারটি পড়ে ভেঙে গেছে ফলে তাকে যেকোনো প্রকারেই হোক একটি থার্মোমিটার জোগাড় করে দিতে হবে। কিন্তু পাচ্ছি কই?
তবে শুধু যে থার্মোমিটারের সরবরাহ কম তাই না সঙ্গে ওষুধের সরবরাহ কমেছে । চাহিদা যদি বেশি হয় তাহলে এই জোগান দিতে তো হিমসিম খেতেই হবে। অনেকেই যাদের প্রয়োজন নেই তারাও ঘরে আগেই মজুত করে রাখছেন।
তিনি জানালেন নদীয়ার কৃষ্ণনগর শহরের প্রায় ১৫টি দোকান খুঁজলাম, অ্যাপোলো ফার্মেসি, দেজ মেডিকেল , দি সরকার মেডিসিন কিন্তু হতাশ সবার একই উত্তর সরবরাহ নেই। দুজনের দোকানে মিলেছে তবে ম্যানুয়াল নয় কম্পিউটারাইজড । দামের ক্ষেত্রেও কম নয় শেষ পর্যন্ত ২৫০ টাকা দিয়ে কিনতে হলো ডিজিটাল থার্মোমিটার।
এই প্রসঙ্গে দি সরকার মেডিসিনের তরফ থেকে জানানো হলো যাদের দরকার নেই তারাও কিনে রেখেছে ফলে থার্মোমিটার ও কিছু ওষুধ বাজারে প্রায় অমিল বললেই চলে। তবে অাশা করি কয়েকদিনের মধ্যেই সরবরাহ বাড়বে।