দীপ রায়,নদীয়া: শুরুটা হয়েছিল বছর খানেক আগে চাষীদের কৃষিকাজের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম বিতরণের মধ্য দিয়ে। তারপরও থেমে থাকেনি ছেলে-মেয়ে গুলো।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের অবস্থা ভীষন সংকট জনক তাতে আবার গতকাল অর্থাৎ রবিবার থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন ।
নদীয়ার কৃষ্ণনগরের আলিঙ্গন সংস্থা তাদের একবছর পুর্তি উপলক্ষ্যে যারা কাজ হারা রিক্সাওয়ালা তাদের সহযোগীতার হাত বাড়াল। যদিও টোটোর দাপটে সারাবছরই তাদের লকডাউন তবুও তারা ঘোরেন রাস্তায়। কেউ ছেড়ে গেছন এই পেশা আবার কেউ আঁকড়েই থেকে গেছেন।
শনিবার সকালে সংস্থার সদস্য শঙ্কর চৌধুরী মোটামুটি সারা শহর জুড়ে রিক্সাওয়ালার সন্ধান করেন ,যতদূর জানা যায় শহরে এখনো প্রায় ১৫০ জনের বেশি রিক্সাওয়ালা রয়েছেন। তবে সবার কাছে তারা পৌঁছতে পারেননি ।
রবিবার কারবালার মাঠে প্রায় ৮০ জন রিক্সাওয়ালাকে বিভিন্ন সামগ্রী- মুড়ি,চানাচুর,পাউরুটি,ছাতু,চিঁড়ে,চিনি, বিস্কুট,সার্ফ,সয়াবিন,সাবান,শ্যাম্পু, নারকেল তেল, মাস্ক,গামছা তুলে দেওয়া হলো।
সেবাকাজ করতে গেলে তো অর্থ লাগবে ! কোথা থেকে আসবে তা ? মানুষের সেবার জন্য মেয়েরাই চালু করেছে শহরের মহিলা ক্যাটারার ” আলিঙ্গন লেডিস ক্যাটারার”। তা থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যবহার হচ্ছে সেবা কাজে।
সংস্থার একজন সদস্য জানান, “একসময় যে তিনচাকার গাড়ি শহরে দৌড়ে বেড়াত, সেই গাড়ি আজ বিলুপ্তির পথে,বাজারে হাজির অত্যাধুনিক টোটো। কমসময়ে,কম খাটনিতে সহজেই অনেক দূর পথ অতিক্রম করা যায় তাই আর রিক্সাতে চড়া হয়না। যত সময় এগিয়েছে আমরা উন্নত হয়েছি কিন্ত পিছিয়ে পড়েছে সেই পেশার সঙ্গে নিযুক্ত থাকা মানুষরা। তাই রিক্সাওয়ালা দের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ,মানুষগুলোর মুখের দিকে তাকানো যায় না, তাদের জীবনে টোটো গাড়ি আর্শীবাদ নয়। তাদের মুখে হাসি ফোটাতে এই উদ্যোগ”।
রিক্সাচালক শিবু হালদার, লক্ষ্মণ মণ্ডলরা জানান “আমাদের নিয়ে যে কেউ ভেবেছেন এতেই বড় ভালো লাগছে। ওনাদের ভালো হোক।”