মলয় দে, নদীয়া:- নদীয়া জেলার ফুলিয়ার টাউনশিপ! প্রচন্ড গ্রীষ্মের রোদ থেকে বাঁচতে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন একটি বটগাছের ছায়ায়! বলা চলে মানুষ গবাদিপশুর সহবস্থান। গাছের উপরে কাক শালিক পাখিরা বটফল খাচ্ছে মহা আনন্দে! নিচে পরেশনাথ পুরের দিলিপ মজুমদার একটি সাদা ব্যাগে ফল কুড়াচ্ছেন আর মাঝে মাঝেই রসগোল্লার মতো টপাটপ মুখে পুরে দিচ্ছেন!
সচরাচর এভাবে বটফল খেতে দেখা যায় না কাউকে? তিনি একটু গম্ভীর স্বরে উত্তর দিলেন, মানুষের মতন পাখিরা বোকা নয়! ওরাই বোঝে প্রকৃতির কোনটাতে কি খাদ্য গুন আছে! অল্প পড়াশোনা জানা তাঁত কাপড় বুনে জীবিকা অর্জন করা দীলিপবাবু জানান, পেটের ব্যথায় ভুগেছি বেশ কয়েক বছর তারপর এই ফল খেয়ে ভালো আছি। এছাড়াও বললেন বাকীটা নেটে সার্চ করে দেখুন!
বাড়ির মা জ্যেঠিরা জানান পুজোতেও বটফলের প্রচলন আছে, এইতো কিছুদিন বাদে জামাইষষ্ঠী সেখানে আম জাম কাঁঠাল খেজুরের সাথে বটফলও লাগে।
কবিরাজ জগদীশচন্দ্র জানালেন, চবনপ্র্যাসের মধ্যে খেয়ে থাকেন অনেকেই। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে এক নম্বর । আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বটের কচি পাতা, দুধের মতন আঠা, ছাল, শৃঙ্গ অর্থাৎ অংকুর, আতাফল প্রায় সব অংশই বিভিন্ন রোগের অব্যর্থ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। আমাশয়, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, পা ফাটা, শুক্রতারল্যে ,ধসা মেদে, গাত্রদাহ রোগে, অনিয়মিত ঋতুস্রাবে, ফোঁড়ার ব্যথায়, হাড় মচকে যাওয়ার ব্যথায়, দন্তশূল হলে বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়। তবে দীলিপবাবু সারাবছর বটফল খাওয়ার উদ্দেশ্যে গুড এবং অন্যান্য উপকরণ দিয়ে বটফল এর মোরব্বা প্রস্তুত করে থাকেন। অসাধারণ স্বাদের সেই বহুগুণের মোরব্বার দিকে পড়ে থাকলো মন।