মলয় দে, নদীয়া:- করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্লাবিত গোটা নদীয়া। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫৯৫০ জন। ৩৪৯ টি তরতাজা প্রাণ কেড়ে নিয়েছে অদৃশ্য অশুভ শক্তি। বেশিরভাগ মানুষই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গেছেন বা বাড়িতে রয়েছেন। আবারও আগের মতন পুরো না হলেও আংশিক লকডাউন চলছে রাজ্যে। সড়কপথে পরিবহনের বাসের সংখ্যা কমে হয়েছে প্রায় অর্ধেক । প্রধান গন পরিবহন মাধ্যম ট্রেন বন্ধ হয়েছে আবারও। মূলত ভাইরাসের চেন মানুষের জনসংযোগ মাধ্যম থেকে বিরত রাখার জন্য নানান বিধিব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।
অন্যদিকে প্রতিষেধক টিকা প্রদান শেষ হয়েছে স্বাস্থ্য কর্মী পুলিশ প্রশাসন এবং বয়স্কদের। প্রতিষেধকের অনুপযুক্ত জোগানের ফলে পয়লা মে থেকে চালু হওয়ার কথা থাকলেও ১৮ বছর থেকে ৪ বছর বয়স পর্যন্ত জনসাধারণ এখনো রয়েছে অপেক্ষায়! তবে বাকিদের দ্বিতীয় ডোজ প্রায় শেষের পথে, ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন সমস্ত সাংবাদিকদের টিকাকরণ ব্যবস্থা।
জেলায় বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে, কৃষ্ণনগর জেলা সদর হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট গড়ার কাজ চলছে দ্রুততার সাথে। আর টি পি সি আর, রেপিড টেস্টের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে।আবারও পূর্বের মতো আইসোলেশন বেড বা সারি ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালে। কল্যাণী জে এন এম হাসপাতাল এবং তেহটটো তে ১০০ শয্যার এই ধরনের একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত করার কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে। চাকদহ দশটি বেডের, কৃষ্ণনগরের ২৫ টি বেডের, নবদ্বীপে ১৫টি বেডের, শান্তিপুরে ১০টি বেডের ব্যবস্থা হয়ে রয়েছে।
শান্তিপুর হাসপাতালে সুপারেন্টেন্ড তারক বর্মন জানান প্রাথমিকভাবে সাসপেক্ট রোগীরা ভর্তি থাকবেন এখানে, আর টি পি সি আর টেস্ট হওয়ার পর রিপোর্ট আসা পর্যন্ত। এরপর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পেয়ে গেলে, কোভিদ হাসপাতালে টান্সফার করা হবে, অন্যথায় সাধারণ জ্বরের চিকিৎসা করানো হবে।
নিউজ সোশ্যাল বার্তার পক্ষে থেকে আবেদন গুজবে কান দেবেন না। সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলুন । প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হবেন না । মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন । ভিড় এড়িয়ে চলুন। নিজে সুরক্ষিত থাকুন এবং নিজের পরিবারকেও সুরক্ষিত রাখুন ।