মলয় দে, নদীয়া:- ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিদিনই স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী একদিনের জন্যও কোভিড মুক্ত দিন দেখা যায়নি। আর এই ছোট ছোট আক্রান্তের সংখ্যা গুলো জমে এই কদিনেই হয়ে দাঁড়িয়েছে ২২১০৭ জন । জেলায় প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ৩৮১ টি। সে সময় রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো পাঁচ ছশো! আর মাত্র এই কদিনে সংখ্যাটা হুহু করে বাড়তে বাড়তে আজ দুর্ভাগ্যবশত নদীয়া জেলায় একদিনে আক্রান্ত ৭০০ জন।
তবে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে বাজার, হাট ,পূজা-পার্বণ রাজনৈতিক সভা সমিতি কোথাও গেলে পারস্পরিক দূরত্ব বা মাস্কের ব্যবহার দেখলে বোঝা যায় না।
আজ বিভিন্ন পৌর এলাকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আক্রান্ত হলো রানাঘাট ৪৭, শান্তিপুর ৩২ ,কল্যাণী ৬৪, কৃষ্ণনগর ২৪ ,চাকদহ ৩৮জন। জেলার বিভিন্ন ব্লকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আক্রান্তের সংখ্যা হলো চাকদহ ৬৪ ,কৃষ্ণনগর-১ ব্লক-২৫ ,কালিগঞ্জ ৪০, কৃষ্ণগঞ্জ ২৯ জন।
বিভিন্ন হাসপাতালে প্রবীনদের টিকাকরন শুরু হয়েছে, কেউবা প্রথম ডোজ নিয়েছেন কারওবা দ্বিতীয়! সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তবে ১ মে র পর থেকে, ১৮ বছরের উর্ধ্বে সকলেই পাবেন প্রতিষোধক।
তবে জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল গুলোতে লালা রস সংগ্রহের কাজ চলছে জোড় কদমে, একমাত্র পরীক্ষার মাধ্যমে সাধারণের থেকে আক্রান্তদের আলাদা রাখতে পারলেই সংক্রমণ খানিকটা কম হতে পারে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞরা। অন্যদিকে পাস পারস্পরিক দূরত্ব এবং মাস্ক ব্যবহার রাস্তাঘাটে খুব একটা চোখে পড়ছে না, সচেতন নাগরিকদের একটি বড় অংশ মনে করেন, আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত সচেতন হবেন না সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন সরকারি অফিস-আদালত রেল বা বিমানে যে মানুষগুলো সচেতন তারাই তার এলাকার স্থানীয় বাজার রাস্তাঘাটে স্বাস্থ্যবিধি ভুলে উদাসীন! তবে জেলা প্রশাসন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন আবারো।