বাংলার এই মেলায় মূল বেচাকেনা তুলো ! মকর সংক্রান্তিতে তুলসীচারার মেলায় মাটি দিতে ভিড় পুণ্যার্থীদের

Social

মদন মাইতি, পটাশপুর: মকর সংক্রান্তির দিন পটাশপুর ও সবং-র মধ্যবর্তী এলাকার চেহারা একেবারেই বদলে যায়। মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে সবং-পটাশপুরে মধ্যে কেলেঘাই নদী বক্ষে শুরু হয়, সাত দিনের হয় তুলসী চারার মেলা । মেলার বয়স ৫২৮ বছর । শুধু তাই নয়, তুলসী চারার মেলা অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও প্রাচীন মেলা । পটাশপুরের গোকুলপুর গ্রামে নদীবক্ষে রয়েছে তুলসী মন্দির । এই তুলসী মন্দিরকে কেন্দ্র করেই এই মেলা। সেই থেকেই মেলার নামকরণ তুলসীচারার মেলা ।

মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরের গোকুলপুর গ্রামে বাকসিদ্ধ বৈষ্ণব শ্রী শ্রী গোকুলানন্দ গোস্বামী বৈষ্ণবচার্যরূপের সমাধি মন্দির রয়েছে l বয়স্কদের কথায়, গোকুলানন্দ সবং-এর কোলন্দা গ্রামের নামকরা জমিদার পরমানন্দ ভুঁইঞার ভান্ডারি ছিলেন । বেশিরভাগ সময়ই সাধন ভজনে ব্যস্ত থাকতেন । গোকুলানন্দ গোস্বামী পৌষ সংক্রান্তিতে রাত ১২ টা নাগাদ নদীর মাঝখানে, তাঁর যোগমঞ্চে সাধনা করতে করতে সমাধিপ্রাপ্ত হন । দেহরক্ষার আগে গোকুলানন্দ গোস্বামী তাঁর শিষ্য বিপ্রপ্রসাদকে ডেকে বলে যান পৌষ সংক্রান্তিতে তুলসীমঞ্চে তিনমুঠো মাটি দিলে সবার মনস্কামনা পূরণ হবে । সেই থেকেই পৌষ সংক্রান্তির ভোরে পুণ্যস্নান করে গোকুলানন্দ গোস্বামীর তুলসী মঞ্চে কেলেঘাই নদী থেকে তিন মুঠো মাটি তুলে দান করেন । দুই মেদিনীপুরের হাজার হাজার মানুষ তুলসী মঞ্চে মাটি দিয়ে পূজা নিবেদন করেন ।

এই মেলার প্রধান বৈশিষ্ট্য তুলোর বিকিকিনি।
। দীর্ঘদিন ধরেই থেকেই এই মেলায় পসরা সাজিয়ে আসছেন তুলো ব্যবসায়ীরা । নানা ধরনের তুলো কেনাবেচা হয় এই মেলাতে । মেলার এক তুলো দোকানদার অচিন্ত্য বসাক বলেন, “ এই মেলায় তুলো কেনার জন্যই প্রচুর দর্শনার্থীর ভিড় জমে । এখানে তুলো খুবই সস্তা।”

Leave a Reply