মলয় দে, নদীয়া :- কথায় আছে রাখে হরি তো মারে কে! প্রদীপ সকলকে আলো দিলেও তার নিচে থাকে অন্ধকার ,মুখ্যমন্ত্রীর শুভাকাঙ্ক্ষী জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্র র অনুগত সৈনিক চাপড়ার ভূমিপুত্র জেবের শেখের, পরিবর্তে বহিরাগত রূপবানু রহমান টিকিট পেয়েছিলেন ২০১৬ সালে। কর্মীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ ভুলে মনের দুঃখ মনে রেখে দলের বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে সর্বশক্তি দিয়ে জিতিয়েছিলেন তাকে। কিন্তু এ বছরও ব্রাত্য হলেন তিনি। তবে তৃণমূলের প্রতি একটিও বিরুদ্ধাচারণ শব্দ ব্যবহার করেননি তিনি, বরং তার হোয়াটসঅ্যাপ ফেসবুক প্রোফাইলে এখনো মুখ্যমন্ত্রী এবং মহুয়া মৈত্র ছবি। নির্দল প্রার্থী হিসেবে জানানো সত্ত্বেও চাপড়া ব্লক সভাপতি পথ থেকে তাকে বহিষ্কার করেনি দল। তার অনুগামীরা বরাবরই চেয়েছিলো নজির সৃষ্টি করে দেখিয়ে দিতে, স্বপ্ন দেখেছিলো মুখ্যমন্ত্রীর ভাঙ্গা পা এবং জেবের শেখের প্রতীক ফুটবল দিয়ে চাপড়ায় নির্মূল করবে বিজেপি কে।
নমিনেশন জমা দিতে গিয়ে, জেলা প্রশাসনিক সূত্রে লোকের সমাগমের অবাক করা তথ্য উঠে এসেছে তাদের মুখ থেকে। প্রচারে খবর সংগ্রহীত সাংবাদিকদেরও একজন নির্দল প্রার্থী হিসেবে জনসমাগম দেখে অবাক করে। তবে প্রতীক চিহ্ন ফুটবল পাওয়ার পর থেকে, কর্মীদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় কয়েক গুণ। সকাল বিকাল সন্ধ্যা রাস্তা হোক বা মাঠ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা বা গৃহবধূ সকলের হাতেই ফুটবল! কর্মী-সমর্থকরা জানান খেলা শুরু হয়ে গেছে, প্রতিপক্ষের দেখা নেই, লক্ষ্য আমাদের অবিচল! আমরা করব জয় ,নিশ্চয়।