নিউজ সোশ্যাল বার্তা : পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সরকার পোষিত বিদ্যালয়গুলির শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীরা CAS বা ক্যারিয়ার এডভান্সমেন্ট স্কিমের মাধ্যমে পদোন্নতির সুযোগ পান না কিন্তু সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা বৃন্দ চাকরি জীবনে মোট তিনবার- চাকরির ৮ বছরে, ১৬ বছরে ও ২৫ বছরে পদোন্নতির সুযোগ পান । শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে সামিল হয়েছে বৃহত্তর গ্রাজুয়েট টিচার অ্যাসোসিয়েশন বা বিজিটিএ । CAS বা ক্যারিয়ার এডভান্সমেন্ট স্কিম ও টিজিটি স্কেলের দাবিতে জেলায় জেলায় ডিআই অফিসে ডেপুটেশন দেওয়া শুরু করে সংগঠনটি । রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কয়েকদিন আগে এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয় । এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক শিক্ষক সংগঠন বৃহত্তর গ্রাজুয়েট টিচার অ্যাসোসিয়েন ।
আজ ২১ নভেম্বর CAS মামলার শুনানি হয়েছে। শুনানির সময় সংগঠনের আইনজীবী আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থ দপ্তর গত ৭ই নভেম্বর ২০১৯ তারিখে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ক্যারিয়ার এডভান্সমেন্ট বিষয়ক এক নির্দেশিকা বার করে যার মেমো নং 6042 F(P2) যেখানে বলা হয়েছে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ০১.০১.২০২০ থেকে এই কেরিয়ার এডভান্সমেন্ট স্কীম চালু হবে । এই মেমোতে সরকার পোষিত বিদ্যালয় শিক্ষকদের যথারীতি বাদ রাখা হয়েছে। সংগঠনের তরফে মাননীয় সিনিয়র আইনজীবী সুরজিত নাথ মিত্র ও আইনজীবী অনিন্দ্য বসু মহাশয় বিচারপতি’র কাছে আবেদন জানান এই বিষয়ে আদালত যতক্ষন না সিদ্ধান্তে পৌছাচ্ছে তার আগে এই কেরিয়ার এডভান্সমেন্ট স্কীম যাতে কার্যকর না হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিক। এরপর মাননীয় বিচারপতি নির্দেশ দেন যে সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে এবিষয়ে নোটিশ করতে । মাননীয় বিচারপতি আগামী সোমবার পুনরায় এই মামলার শুনানির জন্য দিন ধার্য্য করেন।
এই প্রসঙ্গে সংগঠনের সম্পাদক মাননীয় সৌরেন ভট্টাচার্য বলেন – ” আমরা সরকারের বিরুদ্ধে নই । আমরা সামিল হয়েছি বঞ্চনার বিরুদ্ধে । সমস্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা যাতে এই সুযোগ পান পান সরকারকে সেই বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি”।