মলয় দে নদীয়া :- দীর্ঘ লকডাউনে সম্পর্ক স্থাপনও ছিলো স্থগিত, টিকাকরণ শুরু হতেই পারস্পরিক দূরত্ব ঘুচে হৃদয়ের মিলন প্রায় প্রতিটা পাড়ায় পাড়ায়।করোনার ভয়ে জমায়েত এড়িয়ে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে লেখাপড়ার মতন নতুন সম্পর্ক স্থাপন, বা পুরাতন ভালোবাসা সবটাই হয়েছিল ভার্চুয়াল! লকডাউন শিথিল হওয়ার পর আশ্বিন-কার্তিক মাসে সাধারণ বিবাহ হয়না! স্বভাবতই অগ্রহায়ণ পৌষ-মাঘ বিয়ের তাই প্রত্যেকটি তারিখে ঠাকুরমশাই সহ বিয়ের আনুষঙ্গিক সকল ব্যবসার তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। যার মধ্যে অন্যতম তত্ত্ব সাজানো।
কনের বাড়ি থেকে নতুন বস্ত্র, মিষ্টি ,মাছ, মেয়ের সাজসজ্জায় নানান ব্যবহার্য, জামাই এর বিভিন্ন উপহার সামগ্রী এবং তার বাড়ির বড়দের নানান প্রণামী, ননদ পুঁটুলি সবটাই অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে সাজিয়ে দেওয়ার রীতি বহুদিনের। বিয়ের এই অংশটিতে বিভিন্ন শিল্প কর্মের কৃতিত্বের দাবিদার হতে চায়, কন্যাপক্ষ। এবং তা সাজাতে ব্যস্ত থাকতেন দূরের বা কাছের আত্মীয়র পরিবারের বিভিন্ন সদস্যরা। এখন অবশ্য অনেকেই , ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, মৃৎ শিল্পী বা মিষ্টান্ন শিল্পীদের দ্বারস্থ হন পরিবার প্রধানরা। তবে কন্যাপক্ষ হার মানতে মোটেই রাজি নয়, বরপক্ষের কাছে।
এই রকমই এক অতীব সুন্দর শিল্পকর্মের নিদর্শন পাওয়া গেল নদীয়া জেলার শান্তিপুর চৌগাছা পাড়ার সুমিত পাল এর কাছে। এবছর অন্যান্য বছরের তুলনায় অত্যন্ত বিয়ের ডালা সাজানোর চাপ আছে বলে তিনি জানান। খোয়া ক্ষীর ননী সন্দেশ সাজানোর ডালা কুলো সমস্ত কিছু কখনো অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে দিয়ে দেয়া হয় কখনো বা ফুলকন্টাক্ট নিয়ে থাকেন তিনি। তবে লাউ গাজর মটরশুটি, ক্যাপসিকাম বেগুন ,করলা দিয়ে বানানো অসাধারণ গণেশ মূর্তি, সম্পূর্ণ কিসমিস দিয়ে বানানো বাজপাখি, কাজু বাদাম দিয়ে বানানো পেঁচা, এবং সন্দেশ দিয়ে বানানো বিভিন্ন উপকরণ দেখে , নতুন বিয়াই বিয়ানদের চক্ষু যে ছানাবড়া হয়ে যাবে! এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।