মলয় দে নদীয়া :- আমাদের সমাজে নারী-পুরুষ সমান অধিকার আইনত থাকলেও, এখনো নানা অবজ্ঞা লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে , নারী অধিকার আইনকে অপব্যবহার করার মতো বহু নজির দেখা যায়! তাই মানবিক চেতনার উন্মেষ ঘটা দরকার আন্তরিক ভাবে এবং তার পরিবার থেকেই ! নানা আলোচনা উঠে এলো, নারী দিবস উপলক্ষে।
গত কাল সন্ধ্যায় রবিবার থাকার সুবাদে , একদিন আগে এই অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহনের উদ্দেশ্যে,
শান্তিপুর পূর্ণিমা মিলনী নামক সামাজিক সংস্থার আয়োজনে শান্তিপুর পূর্ণিমা মিলনির কার্যালয় ভিতর চাঁদুনি বাড়ি সংলগ্ন অঞ্চলে অর্থাৎ শান্তিপুর বুড়ো শিব তলা লেনে অনুষ্ঠিত হলো। সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও খ্যাতির শিরোনামে থাকা পাঁচ মহিলাকে সন্মান প্রদর্শন করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। সঙ্গীত ,নৃত্য , আবৃত্তি এবং সামাজিক , রাজনৈতিক , শিক্ষা – সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া জগতে মহীয়সি নারীদের বিশেষ সম্মান জ্ঞাপন অনুষ্ঠান ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায় , ১৮৫৭ সালে আজকের দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়োর্কে মহিলা শ্রমিকদের ন্যায্য অর্থের দাবিতে একটি আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল । এই দিনকে স্মরণ করে ১৯১১, ১৯১৪ ও পরবর্তী কালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্থাৎ ১৯৭১ সালের পরবর্তী সময়ে এই নারী দিবস পালিত হয় বাংলা দেশ সহ বিচ্ছিন্ন ভাবে পৃথিবীর আরও অন্যান্য দেশে । কিন্তু পরবর্তীকালে ১৯৭৫ সালে জাতি সংঘ এই ৮ ই মার্চ দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে মান্যতা দেয় ।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বলা যেতেই পারে সমাজ ও পরিবেশ গঠনে সমাজে পুরুষদের পাশাপাশি সৃষ্টির আদি কাল থেকে নারীদের বিশেষ অবদান লক্ষ্যণীয় । প্রাচীন ভারতের ইতিহাস চর্চা করলে আমরা মোনালিসা , আপালা, ঘোসা , বিশ্ববারা , লোপামুদ্রা , গার্গী ও মৈত্রীর ন্যায় মহীয়সী নারীদের অবদান লক্ষ্য করতে পারি । অন্যদিকে স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে মাতঙ্গিনি হাজরা, ঝাঁসির রানী লক্ষীবাই , প্রীতিলতা ওয়াদেদার এর মত অজস্র নারির অবদান চিরস্মরণীয় । আবার বর্তমান সমাজেও শিক্ষায় , দীক্ষায় , রাজনীতি , ধর্মে, বিনোদনে ও পৃষ্ঠপোষকতায় হাজারো নারির গুণাবলী পর্যবেক্ষণ করতে পারি । তবে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ এই দিনে শান্তিপুর পূর্ণিমামিলনী র প্রতিষ্ঠাতা রূপায়ণ চৌধুরী সমাজে নারীদের প্রতি সহনশীলতা , সহমর্মিতা এবং শ্রদ্ধার বার্তা জ্ঞাপন করলেন ।