নতুন পিঁয়াজ উঠলেও এখনও অগ্নিমূল্য বাজার অথচ দাম পাচ্ছেন না চাষীরা

Social

মলয় দে, নদীয়া:- বিক্রেতার একাংশের দাবি নাসিকের পেঁয়াজ ঘাটতির ফলেই, সাধারণ মানুষের ছ্যাকা লেগেছে উৎপাদনের শুরুতেই। তবে বিগত কয়েক মাস আগে এক ভাবে অগ্নিমূল্য থাকা পেঁয়াজের এতটুকু এসে পৌঁছায়নি কৃষকদের কাছে। তাদের কথা অনুযায়ী যথেষ্ট পরিমাণে হিমঘর না থাকা এবং অল্প দিনের মধ্যেই তা মজুতদারদের কিনা পিয়াজের বস্তাভর্তি হয়ে যাওয়ার কারণে, চাষের উৎপাদনের সাথে সাথেই জমি থেকে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন তারা।আর এ সময় বরাদ্দ ২০ থেকে ২৫ টাকা। বাকিটা? চাষ না করা মজুতদারদের পকেটে শীত কাটানোর উত্তাপ।

সোমবারের দর অনুযায়ী মহারাষ্ট্রের নাসিকের পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, আর এরা যে উৎপাদিত পেঁয়াজ ৫০ টাকার কাছাকাছি। আপাতত হাফ সেঞ্চুরি করলেও বছরে প্রথম মাঠে নামা এই দুই জুটি একই সাথে সেঞ্চুরি করবে বলেই মনে করছেন অভিজ্ঞরা। অভিমানী চাষিরা জানাচ্ছেন ৭০০ টাকা কেজি পেঁয়াজের বীজ ৬০০০ টাকা দিয়ে কিনেছি! এ ব্যাপারে সরকারি কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।

মামজায়ানের ইসমাইল মণ্ডল নামে একজন চাষী জানান ৮কাঠা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন কিন্তু পেঁয়াজ ওঠার সাথে সাথেই বিক্রি করতে হলে দিতে হয় তাই দাম পাওয়া যায় না। একমাত্র যারা মজুত করে রাখেন তারাই দাম পান।

হলদিপাড়ার বাসিন্দা কাঞ্চন মণ্ডল জানান ১ কেজি ২৫০ বীজ কিনতে খরচ হয়েছিল ৬ হাজার টাকা। কিন্তু ফলন খুব ভালো নয় আবার বিক্রি করতে গেলে দামও বেশি নয়। একমাত্র যারা সারাবছর রেখে দেন তারাই লাভবান হন।

Leave a Reply