খবরের জেরে অবশেষে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন, ঘুরে ঘুরে অবশেষে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে চিকিৎসা পেলেন পিঙ্কি

Social

দেবু সিংহ, মালদা : খবরের জের। প্রথমে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা না পেলেও খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পর জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় হাসপাতালে ভর্তি হলেন মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের বারোডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা পিঙ্কি দাস। বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে একাধিক সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হচ্ছিল পিঙ্কির পরিবারকে। তাঁর বয়স ২৪। প্রায় ১ বছর ধরে অজানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু অবশেষে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডেই চিকিৎসা হচ্ছে তাঁর।

রাজ্য সরকারের তরফে বারবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না ফেরানোর কথা বলা হলেও হয়রানির ছবি দেখা গিয়েছে রাজ্যের একাধিক প্রান্তে। বারোডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা পিঙ্কি দাসের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছিল। তাঁর মা পেশায় দিনমজুর, বাবা ভ্যানচালক। স্বামীর অত্যাচারে শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে দুই সন্তানকে নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই বাবার বাড়িতে থাকেন পিঙ্কি। এমতাবস্থায় অজানা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল পরিবারের প্রত্যেকের কপালে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা না পেয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ও ব্লক প্রশাসনের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছিল পিঙ্কি। সেই খবর সম্প্রচারিত হয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে।

তারপরই পিঙ্কির দিকে হাত বাড়ায় স্থানীয় প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের তরফেই মালদার বিশিষ্ট চিকিৎসক ডি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তাঁর চিকিৎসার জন্য গাড়ি থেকে শুরু করে অর্থ সাহায্য সবটাই করেছে জেলা প্রশাসন। এখন তিনি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসারত।

মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করতে পেরে খুশি মা লক্ষ্মী দাসও। লক্ষ্মী তো বটেই চিকিৎসক ডি. সরকারও এ জন্য ধন্যবাদ জানান সংবাদ মাধ্যম কেও। তবে চিকিৎসা না হওয়ায় শরীরে একাধিক রোগ বাসা বেঁধেছে পিঙ্কির। মাথা ও সমস্ত শরীরে ব্যথা, নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে পিঙ্কির। তবে জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যেতেও প্রস্তুত তাঁরা।

কিন্তু চিকিৎসক ডি. সরকার জানান, এতটাই শারীরিক সমস্যা রয়েছে যে পরিস্থিতি স্থীতিশীল না হলে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

Leave a Reply