মলয় দে, নদীয়া:- ইংরেজদের কাছ থেকে ভারতের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়ে আসার উপায় চরমপন্থার মাধ্যমে? নাকি! অসহযোগ আন্দোলন, ডান্ডি অভিযান, সত্যাগ্রহ আন্দোলনের মতো গণআন্দোলনের মাধ্যমে? এই নিয়ে বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছিল বহুবার। আন্দোলনের রূপরেখা আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হতে দেখা গিয়েছিলো! কিন্তু তা ছিল শুধুমাত্র মতাদর্শগত বিরোধ। কিন্তু ১৯৪৮ সালের ৩০শে জানুয়ারি, হঠাৎ আজকের দিনে নতুন দিল্লির সুবৃহৎ প্রাসাদ হাউজের সামনে বিকাল ৫.১৭ মিনিটে সর্বধর্ম প্রার্থনায় যাওয়ার সময়, ব্ল্যাংক পয়েন্ট রেঞ্জ থেকে আততায়ীরা পরপর তিনটি গুলি করে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর বুকে এবং পেটে।
১৯৪৯ সালের ১৫ই নভেম্বর আম্বালা কারাগারে অভিযুক্ত নাথুরাম এবং আপ্তে দু’জনকেই ফাঁসি দেওয়া হয়। ফাঁসির আগে নাথুরাম স্বীকারোক্তি দেন, গান্ধীজী দেশের জন্য যা করেছেন তা চিরস্মরণীয়, তবে রাজনৈতিক স্বার্থে ভারত বিভাজন , সমগ্র জাতির পক্ষে ক্ষতি। তাই মাথা নিচু করে গুলি চালিয়েছি।
আজও সেই দিনটি শোক এবং শ্রদ্ধার সাথে মস্তক অবনত হতে দেখা যায় প্রায় প্রত্যেক ভারতবাসীকেই। জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষে আজকের দিনটিতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আয়োজিত হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান, আলোচিত হয় তার গৌরবময় স্মৃতিকথা!
এরকমই নদীয়ার শান্তিপুরে, জাতীয় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির পক্ষ থেকে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে, জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় কংগ্রেসের দলীয় পতাকা উত্তোলন , এবং তাঁর স্মৃতি কথা আলোচিত হয়।