দেবু সিংহ,মালদা:- শুধু জেলা নয় রাজ্যর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকেও অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করে মালদার কালিয়াচকের রেশম চাষ। পোলুপোকা থেকে রেশম উৎপাদন সহ যাবতীয় কাজের সঙ্গে জড়িত কালিয়াচক সহ মালদা জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কয়েক লক্ষ মানুষ। এই জেলার রেশম পাড়ি দেয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এমনকি বিদেশেও। সেই রেশম চাষ ও রেশম সুতো উৎপাদনের বিভিন্ন প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। রেশম বিভাগের আধিকারিক এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তিনি রেশমচাষি থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। শোনেন তাঁদের নানা অভাব অভিযোগ ও সমস্যার কথা। রেশমচাষিদের উন্নয়নে রাজ্য সরকার এবং এলাকার মন্ত্রী হিসেবে তিনি কী উদ্যোগ নিয়েছেন, সেই কথাও জানান সকলকে। কালিয়াচকের রেশম শিল্পের মানচিত্রে বিশিষ্ট স্থানে জায়গা করে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে বলেও এদিন সাবিনা এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেন।
মালদা জেলার রেশম চাষ অধ্যুষিত এলাকায় বহুমুখী প্রকল্প চালু রয়েছে।তুত পাতা উৎপাদন, পলু পোকা চাষ এবং রেশম শিল্পের উন্নয়নে এই জেলা বিশেষ করে কালিয়াচকের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থের অভাবে এখানকার চাষি থেকে ব্যবসায়ীদের মাঝেমধ্যে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। তাই রেশম সুতো তৈরী থেকে নানা প্রকল্পে রাজ্য রেশম বিভাগ অর্থ মঞ্জুর করেছে। সেই অর্থে এলাকায় শুরু হয়েছে উন্নতমানের রেশম উৎপাদনের কাজ। সেই কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে সোমবার মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন সহ রেশম বিভাগের কর্তারা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। উন্নত রেশম কাটাই প্রশিক্ষণকেন্দ্রে গিয়ে প্রশিক্ষনপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
কালিয়াচকের রেশম শিল্পের উন্নয়নে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের ভুমিকাতে খুশি রেশমচাষি, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সকলেই।