মলয় দে, নদীয়া:- ভারতবর্ষের বিভিন্ন শিল্পকলার মধ্যে অন্যতম প্রাচীন কলা মূকাভিনয়, শুধুমাত্র ভাব ও ভঙ্গিমার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশই হলো মূকাভিনয়!
গতকাল সন্ধ্যায় নদীয়ার শান্তিপুর লাইব্রেরী মাঠে নদীয়ার জেলাশাসক মাননীয় পার্থ ঘোষ আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত প্রখ্যাত শিল্পীদের দ্বারা ছৌ নাচ, পুতুল নাটক, নৃত্য, কীর্তন, মূকাভিনয় পরিবেশন শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। চলবে আজও। আজ উপস্থিত থাকছেন রাজ্য মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, কলকাতা দূরদর্শনের সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অধিকর্তা অরুনাভ রায়।
আয়োজক সংস্থা নির্বাক শান্তিপুর পূর্ণিমামিলনীর সম্পাদক ও নির্দেশক রূপায়ণ চৌধুরী জানান , এবার তাদের তৃতীয় বর্ষ। কোভিদ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সহ বেশ কিছু দূরের দল উপস্থিত হতে পারেননি। তবে নাট্যমোদী মানুষের স্বাস্থ্যবিধির কথা মেনে হলের মধ্যে নয়, সমস্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে।
রেনবো ক্লাব ব্যান্ড সুভাষ চন্দ্র বসুর প্রতি অভিভাষণ জানান, উপাসনা নৃত্য সংস্থার পক্ষে নৃত্যের মূর্ছনা পরিবেশিত হয়, আয়োজক সংস্থা নির্বাক পূর্ণমিলনী পরিযায়ী শ্রমিক মঞ্চস্থ করেন স্থানীয় কলাকুশলীদের নিয়ে, অবিস্মরনীয় শ্রীখোল তাল বাদ্যের সাথে পরিবেশন করেন হরে কৃষ্ণ হালদার ও সম্প্রদায়, ইমন মায়িম সেন্টার, জগদীশ ঘরামি, অসিত কুমার আচার্য, সোমা থিয়েটার, পুতুল নাটক, পুরুলিয়ার ছৌ নাচ, কৃষ্ণনগর সিঞ্চন, কলকাতা একাডেমির মুকুল দেব, রংতাল থিয়েটার, কলকাতা মিমিক তাঁদের অসাধারণ উপস্থাপনায় শীতের রাতেও খোলা আকাশের নিচে শ্রোতা-দর্শকদের করতালিতে শ্রেষ্ঠ সম্মান পেলেন আগত কলাকুশলীরা।
আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয় শুধু আধুনিক প্রজন্মই নয়! অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের শেখাতে এসে, আগ্রহ বশত নিজেরাও শিখছেন অনেকেই, এটাই তাদের স্বার্থকতা।