মলয় দে, নদীয়া : ভারত বিখ্যাত ৫২ হাত পৌষ কালী মাতা। যা তৈরি হয় গঙ্গার মাটি দিয়ে আবার বিসর্জন হয় গঙ্গার জল দিয়ে ধৌত করে। নদীয়া শান্তিপুর ভাগীরথীর তীরে অবস্থিত নৃসিংহপুরে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের সাধুসন্ত এবং বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ভক্তবৃন্দর আগমনে ভিড় হয় এই ৫২ হাত কালীর পীঠস্থানে। শান্তিপুর নৃসিংহ পুর কালনা ঘাটের এই ৫২ হাত কালী পুজোর আরাধনা হয়ে আসছে ৪৩ বছর ধরে। প্রথমে ৪২ হাত এবং পরবর্তীতে ৫২ হাত কালীর ইতিহাস সূত্রে জানা যায়, পৃথিবীর সনাতন ধর্মালম্বী হিন্দুসমাজ অধ্যুষিত ভারত উপমহাদেশের মায়ের আবির্ভূতা ৫১ পীঠ পবিত্র ধর্ম স্থানে স্মরণীয় মায়ের পূর্ণশক্তির আরাধনায় সুন্দর ধরিত্রীর সন্তানেরা মগ্ন। ত্রিমোহিনী গঙ্গোত্রী উত্তর পশ্চিম দক্ষিণ একই গঙ্গার তিন ধারার সং শ্রীধাম নিরসিংহপুরের গঙ্গাতটে ৫১ পীঠের পূর্ণশক্তিতে আবির্ভূতা এই ৫২ হাত কালিমাতা।
এ বিষয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই পুজো কে কেন্দ্র করে বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঋষি মুনি আসেন তাদের যঞ্জ আরাধনার জন্য। এছাড়াও ভাগীরথীর তীরবর্তী থেকে শুরু করে মন্ডপ চত্বর পর্যন্ত প্রচুর মেলা বসে। মেলা চলে টানা ১৪ দিন, মেলার পাশাপাশি বাউল শিল্পীরা তাদের গানের মাধ্যমে ভরিয়ে তোলে মেলা দেখতে আসা মানুষের মন। কমিটির পক্ষ থেকেও নেওয়া হয় একাধিক উদ্যোগ। কিন্তু এ বছর করোনা আবহের কারণে মন্ডপ চত্বরে মানুষের জমায়েত কতটা হবে এখনো তা পরিষ্কার নয়। পুজো উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের জমায়েত নিয়েও একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন বলে জানান পুজো উদ্যোক্তারা। গেট, লাইট, প্রচার স্থগিত রেখেছেন এবছর। তবে ভক্তবৃন্দদের সমাগম কম বলেই মনে হয়েছে আজ প্রথম দিনে।