নিউজ সোশ্যাল বার্তা , ১২ই নভেম্বর ২০১৯ : মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সে একাকী বাঁচতে পারে না। সমাজস্থ এই মানুষের মধ্যে রয়েছে বিভিন্নতা, আর এই বিভিন্নতা দেখা যায় প্রতিটি মানুষের চিন্তা, চেতনা, ভাবনা, রুচি,মননের গভীরতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের মধ্যে দিয়ে। সমাজের মঙ্গলার্থে মানুষ অবিরত নানা সদর্থক কাজ করে চলেছে। কিন্তু কাজটি যদি হয় দানের মত মহান। প্রত্যেক মানুষ কাজ করে তার নিজের মতো করে,এখানেই তার বিশেষত্ব ।
নদীয়া জেলার তেহট্ট থানার বেতাই-আখড়াপাড়ার সুজন অধিকারী ইমারজেন্সি ব্লাড সার্ভিস গ্রুপের সদস্য । ২৪ বছর বয়সী এই তরতাজা যুবক বছর দুয়েক আগে বি এ পাশ করেছে। কম্পিউটারে কিছু কাজ করে তার থেকে কিছু টাকা জমিয়ে সকলের মধ্যে রক্তদানের বার্তা পৌঁছে দিতে হাতিয়ার করেছেন সাইকেল যাত্রাকে। গত বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ১লা নভেম্বর নিজ উদ্যোগে এই উদ্দেশ্যে বেতাই থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত সাইকেল যাত্রা শুরু করেছিলেন। তারপর আবার এপ্রিলে গেছিলেন কলকাতায়।
আর এবছর গত ৩রা নভেম্বর “বিদায়ের আর্যাবর্ত” নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতায় পাড়ি দিচ্ছেন সুদূর ওড়িশার পুরীর উদ্দেশ্যে । বেতাই থেকে শুরু হয়েছে তার যাত্রা । যাত্রাপথে একে একে নবদ্বীপ, উত্তরপাড়া,দীঘা, বালেশ্বর, মারকোনা পেরিয়ে গতকাল ১১ই নভেম্বর ২০১৯ পৌঁছে গেছেন ভুবনেশ্বর । আজ একটু বিশ্রাম আগামীকাল আবার রওনা দেবেন পুরীর উদ্দেশ্যে।
পথে যেতে যেতে অসংখ্য মানুষকে বুঝিয়েছেন রক্তের গুরুত্বের কথা। তাদের মধ্যে অনেকে রক্ত দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি কন্টাই হ্যাপি টু হেল্প সংস্থা সুজন কে সংবর্ধনা দিয়েছে। বাঙালি যে ঘরকুনো-অলস- কর্মবিমুখ নয় তা প্রমাণ করে দিয়েছেন সুজনের মত তরতাজা বাঙালি যুবক। এই প্রসঙ্গে সুজন বলেছেন “রক্তদান হোক উপহার বিহীন। রক্তদাতারা যেন রক্ত দেবার আনন্দেই রক্ত দান করেন। সমাজের এই কাজে সবাই এগিয়ে আসুক এটাই চাই “।
Facebook: NEWS SOCIAL BARTA 24X7
Whats App: 9434158779