নদীয়ার কৃষ্ণনগরে রক্তদান শিবির ও করোনা যোদ্ধাদের সম্মাননা

Social

মলয় দে, নদীয়া:- কৃষ্ণনগরের সুদীপ্ত ভৌমিক ছোটবেলা থেকেই থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। রক্ত যোগাড় এর কারণে কৃষ্ণনগরেরই প্রতীক অনিন্দ্য বাপ্পার মতো বেশকিছু বন্ধু সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেদন রাখতে থাকে নিয়মিত! প্রয়োজন অতিরিক্ত দাতা এবং বিভিন্ন রক্তের গ্রুপের গ্রহীতার মেলবন্ধনে ক্রমেই বাড়তে থাকে হোয়াটসঅ্যাপ ফেসবুক গ্রুপ। নামকরণ হয় “প্রচেষ্টা”।

করোনা পরিস্থিতিতে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সম্পূর্ণ লকডাউনে রক্তাল্পতায় ভুগতে থাকে সরকারি ব্লাড ব্যাংক গুলি, তাদের সঙ্গে আলাপচারিতার মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতায় বেশ কয়েকটি রক্তদানের ব্যবস্থা করে কিছুটা সামঞ্জস্য রক্ষার দায়িত্ব পালন করে প্রচেষ্টা।

সংস্থাটির উদ্যোগে গতকাল কৃষ্ণনগর শক্তিনগর মাঠে কৃষ্ণনগর এবং নবদ্বীপ ব্লাড ব্যাংকের দুটি আলাদা রক্ত সংগ্রাহক দলের সহযোগিতায় ৭৬ ইউনিট রক্ত সংগৃহীত হয়। এছাড়াও সংগঠনের পক্ষ থেকে সামাজিক বার্তা নিয়ে বনগাঁ থেকে মানেভঞ্জন ১০০ জনের একটি সাইকেল রেলির সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

রক্তদান কথাটিতে প্রবল আপত্তি সংগঠনের সদস্যদের, তাদের মতে অর্জিত বিষয় দানের উপযোগী হয়! উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত বংশানুক্রমিক জীবনের ধারা ঈশ্বর প্রদত্ত, তাই এটি অর্পণ করা যায় দান কখনোই নয়। রক্তার্পণকারীদের অতিথি হিসেবে আখ্যায়িত করতে দেখা গেলো। সাংবাদিকদের জন্য উঠে এলো অনুরোধ! এক জাতি বা ধর্মের মানুষ অন্য জাতি বা ধর্মের মানুষকে রক্তদান করার ঘটনা টিআরপিবর্ধক খবরের থেকে বিরত থাকতে।

সংগঠিত হতে দেখা গেলো সকল রক্তদাতা সহ অতীতে বিশেষ বিশেষ রক্তদাতাদের। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ,পরিবার সদস্য বিয়োগ হওয়ার পর শ্মশান ঘাট থেকে এসে মুমূর্ষু রোগীকে রক্তদান করা এক তরুণী, একটি হাত দুর্ঘটনায় বাদ যাওয়ার পরও অন্যহাত দিয়ে নিয়মিত রক্তদান করা এক যুবক,হাসপাতালে নিজের ছেলেকে ভর্তি রেখে পাশের বেডে ভর্তি থাকা থেলাসেমিয়া পেশেন্ট কে রক্ত দান করা গৃহবধূ র মতো বিশেষ ব্যক্তিত্বদের। সংগঠনের অন্যতম সুদীপ্ত ভৌমিক জানান ” প্রচেষ্টা গ্রুপ সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে আগামী দিনেও করবে। সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন আপনারা রক্তদানে ব্রতী হন । আপনার রক্তের বিনিময়ে বাঁচবে মুমূর্ষু রোগী।”

Leave a Reply