মলয় দে নদীয়া:- জনশ্রুতি অনুযায়ী হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব তথা বাঙালির সেরা সামাজিক উৎসব দুর্গাপুজো প্রচলন করেন সুরথ। কারণ হিসেবে জানা যায় রাজা সুরথ জীবনে কোন যুদ্ধে পরাজিত হননি কিন্তু, বন্ধু মনোভাবাপন্ন প্রতিবেশী যবনরাজ্য আক্রমণ করে ধন সম্পদ লুঠ করে নিঃস্ব বানান রাজা সুরথ কে। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে, শান্তির খোঁজে বনে যান রাজা।সেখানে মেধাবী পরামর্শে মহামায়ার উদ্দেশ্যে বসন্তকালে চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের দুর্গাপুজো করেন। বসন্তকালের নাম অনুসারে বাসন্তী পুজো প্রচলিত হয় । পরবর্তীতে সারাবাংলা সহ ছড়িয়ে পড়ে, ভারত এবং প্রতিবেশী দেশগুলিতে থাকা হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে। বর্তমান শ্রীলংকার অতীতে সর্বেশ্বর রাবণ রাজও শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে অভ্যস্ত ছিলেন, এই বাসন্তী পুজোর আরাধনায়।
অপরপক্ষে কৃত্তিবাসী রামায়ণ অনুযায়ী রামচন্দ্র সীতা উদ্ধারের জন্য রাবণকে পরাজিত করতে শরৎকালের অকালবোধন করেছিলেন। যা আমরা বেশিরভাগই মেনে চলি। তবে এখনো বেশ কিছু সাবেকি বাড়িতে, বাসন্তী পূজোর রেওয়াজ রয়েছে।
এইরকমই নদীয়া শান্তিপুর চৌগাছা পাড়ার থেকে ১৮ ইঞ্চি র প্রতিমা দু’মাস ধরে তৈরি করার পর, রওনা দিয়েছে আমেরিকার মেক্সিকো শহরের উদ্দেশ্যে। তবে মৃৎশিল্পী সুমিত পালের কথা অনুযায়ী, মেক্সিকোতে প্রবাসী এক বাঙ্গালী সঙ্গে আলাপ হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। দুর্গাপুজোর ঠিক পরে তাকে অর্ডার দেওয়া হয় প্রতিমা নির্মাণের জন্য। আজ মা বাসন্তী সাত সমুদ্র তেরো নদী পার হয়ে মেক্সিকোর মঙ্গলময় আশীর্বাদ দানে উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন।