বড়দিনের আনন্দে মেতে উঠল ইঁটভাটার প্রান্তিক সমাজের শিশুরা

Social

সোশ্যাল বার্তা : গতকাল ছিল ২৫শে ডিসেম্বর। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী মানুষের মূল উৎসব হলেও অধিকাংশ বাঙালি অংশগ্রহণ করেন এই উৎসবে। অনেকেই বলেন সান্তা বিভিন্ন উপহার পৌঁছে দেন বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে । নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দিশারী সাধারণ আদিবাসী সমাজের মানুষের জন্য কাজ করে চলেছে।

গতকাল সংস্থার পক্ষ থেকে আদিবাসী শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে বিভিন্ন ইঁটভাটার শিশুদের নিয়ে আসা হয় সংস্থার রাধানগরের দিশারী আশ্রমে।  ছোট্ট ছোট্ট বন্ধুদের সঙ্গে বড়দিন পালন করতে। শিশুদের প্রথমেই দেওয়া হয় কেক। এর পরে শিশুরা গানের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠে । ধামসা মাদলের সঙ্গে তারা নৃত্যে অংশগ্রহণ করে।

দিশারী সংস্থার শিশুদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন শেষ আশা নামে স্বেচ্ছাসেবী  সংগঠনের সদস্যরা।  দিশারীর বাচ্ছাদের জন্য তারা উপহার স্বরূপ খাতা, পেন, পেনসিল, কেক ও কিছু ব্যবহারযোগ্য বস্ত্র তুলে দেয়।

দিশারীর আশ্রমে বাচ্ছাদের উপহার সামগ্রী তুলে দিয়ে দিশারীর কর্ণধার মানসী দাস এর সঙ্গে শেষ আশা এর সদস্যরা বাচ্ছাদের নিয়ে কৃষ্ণনগর চার্চে পৌঁছে যায়। বড়দিনের আনন্দ ভাগ করে নিতে। সংস্থার সদস্যরা জানান “পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক মানুষের জন্য তাদের এই সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে, ভবিষ্যতে তারা এভাবে মানুষের সেবা করে যেতে চান।”

Leave a Reply