মলয় দে নদীয়া:-লোকজনের নিস্তব্ধতায় প্রত্যন্ত গ্রামের সন্ধ্যে রাতে শুয়েপড়া পরিবারের কানে বাজছে গাড়ি থামার শব্দ! একসাথে জুতো পরিহিত পুলিশের পায়ের শব্দে হতভম্ব পরিবার, কি ঘটে! তারই অপেক্ষায়। হঠাৎ দরজায় টোকা , বাড়িতে কেউ আছেন? ভয়ে ভয়ে বেশ খানিকটা বাদে পরিবার প্রধানের শুকনো মুখ, ভাঙ্গা গলায় দরজা খুলে , প্রথম প্রতিউত্তর “বিশ্বাস করুন স্যার লকডাউনের আমি একবারই শুধু মুদি-দোকান আনতে গিয়েছিলাম! দোকানদার ধারে দেবেনা! সারাবছর নগদে দোকান করি, এ সময় যদি একটু পাশে না থাকে! ক্ষোভে, রাগে একটু গালাগালি দিয়ে ফেলেছি। অপরাধ মার্জনা করবেন স্যার।”
ওসি সুমন দাস মুখে স্মিত হাসি নিয়েই জানালেন , আমি জানি কি হয়েছিল সকালে! তাই আপনার জন্য কিছু সামান্য খাবার-দাবার এনেছি! চোখের কোনায় জল মুছতে মুছতে পরিবারকর্তী খাদ্যদ্রব্য মাটিতে নামিয়ে , ব্যাগ ফেরত দিতে গেলে , ওসি জানান এটা আপনাদের জন্য। আমার ফোন নাম্বার রাখুন, ফুরিয়ে গেলে আবার ফোন করবেন।
সারাদিনে সুশীল নাগরিককে গৃহবন্দির কাজের ফাঁকে প্রতিদিন নিয়ম করে সারাদিনের পাওয়া তথ্য এবং সিভিক ভলেন্টিয়ারদের করার লিস্ট অনুযায়ী বিভিন্ন গ্রাম-শহরের পৌঁছাচ্ছেন শান্তিপুর থানার মানবিক প্রশাসন। শহরের ক্ষেত্রে থানা থেকে পাওয়া ফোন :বড়বাবু ডাকছেন থানায়”শুনে অনেকে চমকে গেলেও যাওয়ার পর ব্যাগভর্তি নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য পেয়ে সকলেই অভিভূত।
পথচলতি দু একজন ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী চোখে পড়লেই গাড়ি থামিয়ে, গাড়িতে সবসময়ের জন্য রাখা নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারের ব্যাগ তুলে দিচ্ছেন তাদের হাতে।