মলয় দে, নদীয়া:- এর আগেও একাধিক ধর্মীয় উৎসবের মেলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল প্রশাসনিক নিয়ম রক্ষার জন্য । দু মুঠো চাল ছাড়া খোঁজ নেয়নি কেউ! অনেক অনুরোধ অনুনয় বিনয় করেও দুর্গাপূজা, জগদ্ধাত্রী , রাস মেলায় কিছু রোজগারের আশায় এসে ফিরে গেছেন বহু দোকানিরা! স্বাস্থ্য বিধি এবং পারস্পরিক দূরত্বর প্রতিশ্রুতি দিলেও অনুমতি পায়নি , সাজিয়ে দোকান দেওয়ার। বাধ্য হয়ে পথের ধারে, কোনরকমে বসেছেন অনেকেই। রানাঘাট কৃষ্ণনগর চার্চের পাশে বসা মেলার বিষয়ে মুখ খোলেননি কর্তৃপক্ষ। তবে সেখানেও অল্প সংখ্যক দোকানে ছাড়া মেলা হিসেবে দেখা যায়নি দোকানীদের সমাহার।
তবে ব্যস্ত শহরের থেকে অনেক দূরে প্রত্যন্ত গ্রামে নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের আরবান্দি অঞ্চলের চাঁদরা গ্রামে বহু প্রাচীন চার্চের পাশে বসেছে মেলা। স্থানীয় এবং জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ঘর সাজানো রকমারি, মহিলা প্রসাধনী, শিশুদের খেলনা, এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের উলকি এছাড়াও বেলুন ,বাদাম ,ফুচকা, পাঁপড় ,জিলাপি তো আছেই। মহিলাদের ঘরকন্যার টুকিটাকি, শিশুদের বিভিন্ন উপভোগ্য খেলা, বিভিন্ন ভিনদেশী খাদ্য খাবার সবই তো বছরে একবারই গ্রামের মাঝে এসে বসে! আকাশ ঘিরে উৎসব চলে আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামের গৃহস্থ পরিবারগুলির। দীর্ঘ লকডাউনের পর উপার্জনের জন্য দু’একটি মেলায় প্রত্যাক্ষিত হয়ে অবশেষে এই গ্রামের মাঝে পরম শান্তি লাভ করেছেন প্রভু যীশুর কৃপায়! প্রায় প্রত্যেকেই জানালেন বিক্রি হচ্ছে ভালই! তবে প্রশাসন এসে বারণ করে দিয়ে গেছে, ক্রেতাদের বসার কোন চেয়ার টেবিল রাখা চলবে না।